নূর মাজিদ : ওয়াশিংটনে বানিজ্যযুদ্ধ নিরসন, নতুন বানিজ্য চুক্তির লক্ষ্যে যুক্তরাষ্ট্র এবং চীনের মাঝে আলোচনার প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে। দুই দেশের শীর্ষ কর্মকর্তা ও মন্ত্রী পর্যায়ের এই বৈঠকে গতকাল মঙ্গলবার চীনের প্রতিনিধিত্ব করেন দেশটির ভাইস প্রিমিয়ার লিউ হে। গতকালের আলোচনায় মার্কিন প্রতিনিধিরা চীনের মুদ্রা ইউয়ানের দর বানিজ্য চুক্তির পড়ে অবমূল্যায়ন করা হবেনা এমন প্রতিশ্রুতি দিতে জোর আহব্বান জানান। প্রতিক্রিয়ায় চীনা প্রতিনিধিরা ওয়াশিংটনের দাবীর বিপক্ষে ভবিষ্যতে মার্কিন ডলারের অবমূল্যায়ন নিয়ে নিজেদের উদ্বেগ তুলে ধরেন। চীনের এমন প্রতিক্রিয়া বানিজ্য আলোচনার ধারাকে খানিকটা বাধাগ্রস্ত করবে বলেই মার্কিন গণমাধ্যমের কাছে দেশটির কর্মকর্তারা আশংকা প্রকাশ করেন। ব্লুমবার্গ, সাউথ চায়না মর্নিং পোষ্ট
চীনা প্রতিনিধিরা এদিন যুক্তরাষ্ট্রের কাছে সামগ্রিক বানিজ্য চুক্তি নিয়ে তাদের অবস্থানও তুলে ধরেছেন। যার সঙ্গে পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে প্রয়োজনে নিজ মুদ্রার অবমুল্যায়নের ক্ষমতা বানিজ্য চুক্তির মূল শর্ত না করার জন্য তারা যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি আহব্বান জানান। চীনের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর ই-গ্যাং মঙ্গলবারের আলোচনা স¤পর্কে আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন, অনেক জটিল এবং গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুতে উভয়পক্ষ একটি সমাধানে পৌঁছাতে পেরেছেন। একইসঙ্গে, নিজ নিজ মুদ্রার অবমূল্যায়ন প্রতিযোগিতা না করার বিষয়টিও আলোচনায় এসেছে।
একথার মাধ্যমে ই-গ্যাং চীন যে আলোচনার টেবিলে ডলারের অবমুল্যায়নের বিষয়টি নিয়ে নিজেদের উদ্বেগ তুলে ধরে তা ¯পষ্ট হয়েছে। ই গ্যাং আরো বলেন, উভয়দেশ নিজ নিজ মুদ্রানীতি বানিজ্য চুক্তি থেকে পৃথক অ স্বাধীন রাখার বিষয়টিও আলোচনার অংশ ছিলো। এসময় তিনি ইতোপূর্বে ইউয়ানের দর স্থিতিশীল রাখার ব্যাপারে চীন যে একতরফা প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলো সেই বিষয়টি এড়িয়ে যান।
প্রভাবশালী মার্কিন অর্থনৈতিক গণমাধ্যম ব্লুমবাগ জানায়, চলতি সপ্তাহের আলোচনায় দুই দেশের ভবিষ্যৎ মুদ্রানীতি প্রাধান্য পাচ্ছে। যার কারণে ডোনাল্ড ট্রা¤প এবং শি জিনপিংয়ের মাঝে চূড়ান্ত বানিজ্য চুক্তি ও বৈঠকের বিষয়টি আরো পিছিয়ে পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। গতকালও এই বিষয়ে দুই দেশের কর্মকর্তারা কোন নির্দিষ্ট তারিখ ঘোষণা করেন নি।
আপনার মতামত লিখুন :