ফাহিম বিজয় : পানির অপর নাম জীবন, কিন্তু অবশ্যই বিশুদ্ধ পানি। স্বাধীনতার ৪৮ বছর পরেও নিরাপদ পানির সংকটে মারাত্মক ঝুঁকিতে রয়েছে দেশের অধিকাংশ মানুষ। এর মূল কারণ হিসেবে দোষারোপ করা হচ্ছে রাষ্ট্রীয় সেবা সংস্থাগুলোকে। অভিযোগ রয়েছে সেবা সংস্থাগুলোর অবহেলা আর নজরদারির অভাবে সাধারণ মানুষ হয়রানির শিকার হচ্ছেন। আর এটাকে পুঁজি করে একশ্রেণির স্বার্থান্বেষী মহল বিশুদ্ধ পানির মোড়কে দূষিত এবং বিষাক্ত পানি বাজারজাত করে জনগণের সাথে প্রতারণা করছেন। এসএ টিভি
আমাদের দেশের মানুষ প্রায় দেড় দশক ধরে অতিমাত্রায় পানি সচেতন হয়েছেন। বেড়েছে বোতলজাত বা কন্টেইনারজাত পানির চাহিদা। প্রায় দু’ কোটি মানুষের বসবাসের শহর রাজধানী ঢাকা। এই বিপুল সংখ্যার মানুষের পানির চাহিদা পূরণ করে ঢাকা ওয়াসা। বর্তমানে রাজধানীতে দৈনন্দিন পানির চাহিদা প্রায় ২৩২-২৩৫ কোটি লিটার। এর বিপরীতে ওয়াসার উৎপাদন ক্ষমতা ২৪২ কোটি লিটার বলে দাবি করা হয়।
গত কয়েক বছরে ওয়াসার পানির মান কিছুটা বেড়েছে একথা যেমন অনস্বীকার্য তেমনি এই মান যে কাক্সিক্ষত পর্যায়ের নয় একথাও দিনের আলোর মতো পরিস্কার। রাজধানীর কিছু কিছু এলাকায় ওয়াসার সরবরাহ করা পানি ফুটিয়েও দুর্গন্ধ দূর করা যায় না বলে অভিযোগ নগরবাসীর।
রাজধানী ও তার আশেপাশে বৈধ ও অবৈধ মিলে প্রায় তিনশতাধিক পানি তৈরির কারখানা রয়েছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও বিভিন্ন সংস্থা ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করে জেল-জরিমান করলেও ব্যবসা বন্ধ হয়নি।
আপনার মতামত লিখুন :