কেএম নাহিদ : গণসংহতির প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি বলেন, ৩০ ডিসেম্বর নির্বাচনের পর এই সরকারের অবস্থান এমন এক জায়গায় পৌঁছেছে, তারা কোনো একটি নির্বাচন সুষ্ঠু করতে পারছে না সকল পরিস্থিতি তাদের অনুকূলে থাকার পরও। সোমবার আজকের বাংলাদেশে অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ এদেশে অনেক ঐতিহ্যের ধারক বাহক, তাদের দিয়ে এই রকম একটা কলুষিত নির্বাচন আশা করা যায় না। দীর্ঘ ২৮ বছর পর ডাকসু নির্বাচন আমাদের অনেক আশা আকাঙ্ক্ষার স্থান থাকলে সরকার সে জায়গায় তার দখলদারিত্ব করতে কুন্ঠাবোধ করেনি। মোট কথা জাতীয় নির্বাচনের পর সরকার আর কোনো নির্বাচনে নিজের হারকে মেনে নিতে চায় না। এটা একটা স্বৈরাচারী সরকারের কর্মকাণ্ড।
সাকি বলেন, বর্তমান সরবকার দখলদারিত্বকে প্রতিষ্ঠানিক রূপ দিয়েছে। ছাত্রলীগ ছাড়া ডাকসু নির্বাচনে সব সংগঠন পুনর্নির্বাচনের দাবি জানিয়েছে, এতেই প্রমাণীত হয়, এই নির্বানের অবস্থান সংগঠনগুলোর কাছে কতটুকু বিশ্বাস স্থাপন করতে পেরেছে। এছ্ড়াা কুয়েত মৈত্রী হলের ভুয়া ব্যালট পাওয়ার মধ্যে দিয়ে ভোট কারচুপির আরোও প্রমাণ মেলে।
তিনি বলেন, এতো কিছুর পরও আমার সংগঠনের প্রার্থী দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ভোট পেয়েছে। এতেই প্রমাণ হয়, ছাত্রলীগ এবং সরকারের হস্তক্ষেপ না থাকলে এই নির্বাচনে সরকার সমর্থক ছাত্রলীগের অবস্থা কী হতো, এটা দেশবাসী দেখতো। এই নির্বাচন কখনো গ্রহণ যোগ্য নয় বলেন তিনি।
আপনার মতামত লিখুন :