শিরোনাম
◈ প্রাথমিক স্কুলে অ্যাসেম্বলি বন্ধ রাখার নির্দেশ ◈ গাজায় নিহতের সংখ্যা ৩৪ হাজার ছাড়াল ◈ পাগলা মসজিদের দানবাক্সে এবার ২৭ বস্তা টাকা, গণনা চলছে ◈ সাতক্ষীরায় এমপি দোলনের গাড়িতে হামলা ◈ চুয়াডাঙ্গার পরিস্থিতি এখন মরুভূমির মতো, তাপমাত্রা ৪১ দশমিক  ৫ ডিগ্রি ◈ ফরিদপুরে পঞ্চপল্লীতে গণপিটুনিতে ২ ভাই নিহতের ঘটনায় গ্রেপ্তার ১ ◈ মিয়ানমারের ২৮৫ জন সেনা ফেরত যাবে, ফিরবে ১৫০ জন বাংলাদেশি: পররাষ্ট্রমন্ত্রী ◈ দাম বেড়েছে আলু, ডিম, আদা ও রসুনের, কমেছে মুরগির  ◈ প্রার্থী নির্যাতনের বিষয়ে পুলিশ ব্যবস্থা নেবে, হস্তক্ষেপ করবো না: পলক ◈ ২০২৫ সালের মধ্যে ৪৮টি কূপ খনন শেষ করতে চায় পেট্রোবাংলা

প্রকাশিত : ১২ মার্চ, ২০১৯, ০৪:১০ সকাল
আপডেট : ১২ মার্চ, ২০১৯, ০৪:১০ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত আর্ল আর মিলারের কক্সবাজার জেলা সফর

নিজস্ব প্রতিবেদক: বাংলাদেশে নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত আর্ল আর মিলার গত ৮ থেকে ১০ জানুয়ারি কক্সবাজার জেলা সফর করেন। রাষ্ট্রদূত মিলার স্থানীয় কমিউনিটি, অঞ্চলটিতে যুক্তরাষ্ট্র সরকারের সহায়তা কার্যক্রম এবং রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবির পরিদর্শন করেন।এছাড়া তিনি সরকারি কর্মকর্তা এবং কক্সবাজার অঞ্চলে কর্মরত জাতিসংঘের বিভিন্ন সংস্থাও এনজিওগুলোর কর্মীদের সঙ্গে সাক্ষাত করেন। এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এতথ্য জানানো হয়েছে।

রোহিঙ্গাদের জন্য জাতিসংঘের ২০১৯ সালের জয়েন্ট রেসপন্স প্ল্যানে গত ৩ মার্চ যুক্তরাষ্ট্রের বাড়তি ৪ কোটি ৫৫ লাখ ডলার দেওয়ার কথা ঘোষণা করার পর ৮ মার্চ কক্সবাজার যান রাষ্ট্রদূত মিলার।ওই বাড়তি অর্থের মাধ্যমে রোহিঙ্গাদের সহায়তায় গঠিত নিয়মিত তহবিলটিতে যুক্তরাষ্ট্রের মোট অবদান ১০ কোটি ৫৫ লাখ ডলারে উঠেছে।

যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকদের দেওয়া করের অর্থ সঠিক ভাবে বহৃত হওয়া নিশ্চিত করতে কক্সবাজার সফরে যান মিলার।কক্সবাজারে অবস্থানরত ৯ লাখের বেশি রোহিঙ্গাকে মানবিক সহায়তাও আশ্রয় যোগানোর জন্য বাংলাদেশ সরকার, জাতিসংঘের বিভিন্নসংস্থাও এনজিওগুলো যে অসাধারণ কাজ করছে তা প্রত্যক্ষকরাও ছিল রাষ্ট্রদূতের সফরের উদ্দেশ্য।

কক্সবাজার সফরে রাষ্ট্রদূত মিলার আমেরিকান রেডক্রস, আইএফআরসি, আইওএম, ইউএনডিপি, ইউএনএইচসিআর, ডব্লিউএফপিসহ বিভিন্ন সংস্থার কার্যক্রম দেখেন।তিনি আসন্ন ঝড়ও বর্ষা মৌসুমের পরিস্থিতি মোকাবেলায় স্থানীয় এলাকাবাসীর সঙ্গে সংস্থাগুলো যেসব প্রশংসনীয় উদ্যোগ নিয়েছে তা নিয়ে কথা বলেন।যুক্তরাষ্ট্র এবিষয়ে আরও কী করতে পারে রাষ্ট্রদূত তা-ও জানতে চান।

যুক্তরাষ্ট্র বহুমুখী ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্র (মাল্টি পারপাস সাইক্লোন শেল্টারসবা এমপিসিএস) তৈরি এবং দুর্যোগের সময় কার সাহায্য কর্মীদের প্রশিক্ষণের বিষয়ে বাংলাদেশ সরকারও সংশ্লিষ্ট এলাকাবাসীর সঙ্গে ঘনিষ্ঠ ভাবে কাজ করে।ইউএসএআইডি এর মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্র সরকার ২০০৮ সাল থেকে কক্সবাজারে নয়টি এমপিসিএস তৈরিও ৬০টির মানোন্নয়ন করেছে।

বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে সমন্বয়ের মাধ্যমে ইউএসএআইডি কক্সবাজারও বান্দরবান জেলায় আরও ১০০টির মতো এমপিসিএস মেরামতের পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে। ঘূর্ণিঝড়ের সময় আশ্রয় কেন্দ্রগুলো শরণার্থীও স্থানীয় বাসিন্দা উভয়ের কাজে লাগে।

এছাড়া সারা বছরধরেই এলাকাবাসী তাদের বিভিন্ন কাজে এগুলো ব্যবহার করে।

রাষ্ট্রদূত মিলার বেশ কয়েকটি শরণার্থী শিবির পরিদর্শন করেন এবং রোহিঙ্গা শরণার্থীও সেখানে সেবাদানকারী এনজিও গুলোর লোকজনের সঙ্গে কথা বলেন। তিনি শরণার্থী শিবিরগুলোর সাধারণ সংস্কার আর রক্ষণাবেক্ষণ কাজ এবং আসন্ন ঝড়ও বর্ষা মৌসুম মোকাবেলার প্রস্তুতি দেখেন।রাষ্ট্রদূত মধ্য এপ্রিল নাগাদ ভাসান চরে এক লাখের মতো রোহিঙ্গাকে স্থানান্তর শুরু করার পরিকল্পনা নিয়ে বিস্তারিত জানতে
শরণার্থী ত্রাণও প্রত্যাবাসন কমিশনার এবং কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক সহ স্থানীয় সরকারি কর্মকর্তাদের সঙ্গে সাক্ষাত করেন।

ভাসান চরে যাওয়ার ব্যাপারটি সবকিছু জানা শোনার ভিত্তিতে সম্পূর্ণ স্বেচ্ছামূলক হবে-এআশ্বাসকে তিনি স্বাগত জানান।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়