শিরোনাম
◈ ইফতার পার্টিতে আওয়ামী লীগের চরিত্রহনন করছে বিএনপি: কাদের ◈ বাংলাদেশে কারাবন্দী পোশাক শ্রমিকদের মুক্তির আহ্বান যুক্তরাষ্ট্রের ফ্যাশন লবি’র ◈ দক্ষিণ আফ্রিকায় সেতু থেকে তীর্থ যাত্রীবাহী বাস খাদে, নিহত ৪৫ ◈ ভারত থেকে ১৬৫০ টন পেঁয়াজ আসছে আজ! ◈ ২২ এপ্রিল ঢাকায় আসছেন কাতারের আমির, ১০ চুক্তির সম্ভাবনা ◈ ইর্ন্টান চিকিৎসকদের দাবি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী’র সঙ্গে কথা বলেছি: স্বাস্থ্যমন্ত্রী ◈ উন্নয়ন সহযোগীদের একক প্ল্যাটফর্মে আসা প্রয়োজন: পরিবেশমন্ত্রী ◈ ড. ইউনূসের পুরস্কার নিয়ে ভুলভ্রান্তি হতে পারে: আইনজীবী  ◈ ত্রিশালে বাসের ধাক্কায় বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রসহ অটোরিকশার ৩ যাত্রী নিহত ◈ এসএসসি পরীক্ষায় আমূল পরিবর্তন, বদলে যেতে পারে পরীক্ষার নামও

প্রকাশিত : ০৮ মার্চ, ২০১৯, ০৬:৫২ সকাল
আপডেট : ০৮ মার্চ, ২০১৯, ০৬:৫২ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

ইউরোপিয় ইউনিয়নের সৌদি বিরোধী অবস্থান অভূতপূর্ব, বললেন অধ্যাপক আলী রিয়াজ

মারুফুল আলম : বাণিজ্যিক সম্পর্কের প্রেক্ষাপটে সৌদি আরবের বিরুদ্ধে ইউরোপিয় ইউনিয়নের প্রকাশ্য সমালোচনাকে বিরল ও ব্যতিক্রমধর্মী হিসেবে উল্লেখ করে ইলিনয় স্টেট ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক আলী রিয়াজ বলেন, ইউরোপিয় ইউনিয়নের দেশগুলোর মধ্যে সৌদি আরব প্রশ্নে দীর্ঘদিন ধরে অনৈক্য ছিলো। এখন তারা সেই অনৈক্যের জায়গা থেকে সরে আসলো। বিবিসি বাংলা।

সম্প্রতি মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে জাতিসংঘের মানবাধিকার পরিষদের সদস্যরা কঠোর সমালোচনা করেছেন সৌদি আরবের। এ নিয়ে ইউরোপিয় ইউনিয়নের ২৮ দেশসহ ৩৬টি দেশ সম্মিলিতভাবে এক যৌথ বিবৃতিতে কড়া নিন্দা জানিয়েছে। তার সঙ্গে কানাডা এবং অস্ট্রেলিয়াও যুক্ত আছে। এসব বিষয় বিশ্লেষণ করে আলী রিয়াজ বলেন, বিশেষ করে জামাল খাশোগজির হত্যাকাণ্ডের পরপরই ইউরোপিয় পার্লামেন্টের পক্ষ থেকে ইউরোপিয় ইউনিয়নের দেশগুলোর উপর চাপ তৈরি হয়, যেনো তারা সৌদি আরবকে অস্ত্র সরবরাহ বন্ধ করে এবং মানবাধিকার প্রশ্নে সৌদি আরবের উপর চাপ সৃষ্টি করে।

আলী রিয়াজ আরো বলেন, মানবাধিকার প্রশ্নে সৌদি আরবের ক্রমাগত ভূমিকা ইউরোপিয় ইউনিয়নের মধ্যে মতপার্থক্য তৈরি করেছে। এখন ইউরোপিয় ইউনিয়ন চায়, জামাল খাশোগজিসহ অন্যান্য ঘটনাগুলোর যেসব তথ্যাদি তদন্তের মাধ্যমে সৌদি আরব পেয়েছে বলে দাবি করছে সেগুলো প্রকাশ করা হোক।

সৌদি আরবের বিরুদ্ধে এই বিবৃতিতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সই করেনি, এর পেছনে কী কারণ থাকতে পারে জানতে চাইলে তিনি বলেন, সৌদিআরবের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের যে বাণিজ্যিক সম্পর্ক তা কেবল সমর্থক ও সহযোগী পর্যন্তই সীমাবদ্ধ নয়, তারা যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধি হিসেবেও কাজ করছে। ট্রাম্প প্রশাসন মনে করে সৌদিদের সঙ্গে তাদের ঘনিষ্টতা অব্যাহত রাখা দরকার। এর একটা অন্যতম কারণ যদিও ব্যবসা বাণিজ্য, দ্বিতীয় কারণটি হলো, ইরানের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের বর্তমান অবস্থান। ফলে যে কারণে ইউরোপিয় ইউনিয়ন সৌদি আরবের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে, সেটি যুক্তরাষ্ট্র নিচ্ছে না।

বিকল্প জ্বালানী নিয়ে সারা বিশ্ব প্রস্তুত হচ্ছে এবং তেলের উপর নির্ভরতা কমে এসেছে, সে কারণেই সৌদি আরবের বিরুদ্ধে ইইউ সরব হয়েছে কিনা জানতে চাইলে আলী রিয়াজ বলেন, শুধুমাত্র তেলের বিকল্প তৈরি হচ্ছে বলেই সবাই সরব, তা না। নিঃসন্দেহে বিকল্প জ্বালানীর উপর প্রচেষ্টা আগের তুলনায় বেড়েছে, সেটি সত্য। তবে ইউরোপের রাষ্ট্রগুলোকে যেমন তেলের জন্য রাশিয়ার মতো অন্য সূত্রের উপর নির্ভর করতে হচ্ছে, একইভাবে যুক্তরাষ্ট্র নির্ভর করছে ভেনিজুয়েলার উপর। তাই ওইটাই একমাত্র কারণ নয়। কারণটা রাজনৈতিক। এখানে ইউরোপের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের দুরত্বটা দেখতে পাচ্ছি, সেইসঙ্গে মধ্যপ্রাচ্যে আঞ্চলিক রাজনীতির পরিবর্তনও দৃশ্যমান।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়