আক্তারুজ্জামান : তিন ম্যাচ সিরিজের প্রথম টেস্টে বাংলাদেশের বোলারদের নিয়ে রীতিমত ছেলেখেলা করেছে স্বাগতিক নিউজিল্যান্ড। পেস কিংবা স্পিন কোন কিছুতেই স্বাগতিকদের আটকাতে পারেনি টাইগার বোলাররা। পেস বান্ধব উইকেটে স্বাগতিকরা যেখানে বাংলাদেশকে দাঁড়াতেই দেয়নি সেখানে বাংলাদেশি বোলাররা উইকেট খুঁজেছেন হন্য হয়ে। এখন কথা হলো, হ্যামিল্টনে বোল্ট, সাউদি আর ওয়াগনারদের খুব কাছের থেকে দেখছেন রাহী, খালেদ আর এবাদতরা। তারা কি সেখান থেকে কিছু শিখেছেন যেটা ওয়েলিংটনে কাজে লাগাবেন?
প্রথম টেস্টে ইনিংস ব্যবধানে হারের ফলে দুই ইনিংস বল করতে হয়নি বাংলাদেশি বোলারদের। আবু জায়েদ রাহী, খালেদ আহমেদ ও এবাদত হোসেনরা একটু কম পরিশ্রমেই ম্যাচ শেষ করেছেন। লজ্জার ম্যাচে এ তিন পেসার মিলিয়ে বল করেছেন মোট ৮৭ ওভার। ৩৫৮ রানের বিনিময়ে সাফল্য বলতে এবাদতের একমাত্র উইকেটই। অন্যদিকে কউিইদের হয়ে নেইল ওয়াগনার, ট্রেন্ট বোল্ট ও টিম সাউদি মিলে বোলিং করেছেন ১২০ ওভার। দুই ইনিংসে এই তিন পেসার ভাগ করে নিয়েছেন ১৯ উইকেট। বাকি একটি ছিল গ্র্যান্ডহোমের।
হ্যামিল্টনে আবু জায়েদ রাহী একাই ৩০ ওভার বোলিং করেছেন। ১০৩ রানের বিনিময়ে উইকেটের ঝুলি ছিল শুন্য। তার সঙ্গী হিসেবে খালেদ আহমেদও ৩০ ওভারে বিনা উইকেটে রান দিয়েছিলেন ১৪৯। আর অভিষিক্ত এবাদত ২৭ ওভার বোলিং করেছেন। ১০৭ রানের বিনিময়ে উইকেট পেয়েছিলেন একটি। সেটাও ৪৭ রানে ব্যাটিং করা নেইল ওয়াগনারের।
এখন কথা হলো যে মাটিতে স্বাগতিক পেসাররা ২০ উইকেটই ঝুলিতে পুরতে পরেছেন সে মাটিতে বাংলাদেশি পেসারদের এমন হাল কেন? হ্যাঁ, আপনি অবশ্য বলতে পারেন অভিজ্ঞতার কথা। কেননা বাংলাদেশের এই তিন পেসার হ্যামিল্টনে নামার আগে মোট ৪টি টেস্ট খেলেছিলেন। রাহী ৩টি এবং খালেদ একটি আর ওই ম্যাচেই অভিষেক হয় এবাদতের। অভিজ্ঞতার ঘাটতি ছিল ঠিক আছে। এখন কথা হলো ওই মাঠ থেকে ব্ল্যাক ক্যাপসদের কাছ থেকে কি শিখেছেন এই তিন পেসার?
খুব কাছ থেকে প্রতিপক্ষের আক্রমণ থেকে শিখে নেওয়াটা কৌশলী যোদ্ধার পরিচয়। এখন বাংলাদেশি পেসাররা সেটার পরিচয় দিতে পারবেন কি না সেটা জানার জন্য আমাদের অপেক্ষা করতে হবে ওয়েলিংটনে ম্যাচ মাঠে গড়ানো পর্যন্ত। বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ৪টায় শুরু হবে দু’দলের দ্বিতীয় টেস্ট।
আপনার মতামত লিখুন :