হ্যাপি আক্তার : গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি বলেছেন, নির্বাচনটি সঠিকভাবে হওয়ার চেষ্টা করা ইতিবাচক। তবে যদি তা না হয়, তাহলে এই চেষ্টার লড়াই বন্ধ করে দিতে হবে। দেশে তো এখন সবকিছু চূড়ান্ত পর্যায়ে গিয়ে ঠেকেছে। এখন ভোট মানে সম্পূর্ণ কুদ্যেতা ছাড়া কিছুই না। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী নিজেই নির্বাচন করে বিরোধী দলকে লাল কার্ড দেখিয়ে দিয়েছে। মঙ্গলবার রাতে যমুনা টেলিভিশনের ‘২৪ ঘণ্টা’ টকশোতে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় যা প্রাথিষ্ঠানিক জায়গা, যেখানে জ্ঞানচর্চার জন্য প্রাধান্য পেতো। বিশ্ববিদ্যালটিতে এককভাবে ছাত্র সংগঠনের যে সংখ্যা থাকার কথা তা বাস্তবতায় নেই। এই না থাকার বাস্তবতাটি তারাই তৈরি করেছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের হল থেকে শুরু করে সমস্ত বিশ্ববিদ্যালটিকে এমনভাবে দখল করে রাখা হয়েছে, যা এক পার্টির দখল। এটাকে কোনো প্রতিষ্ঠান চালাচ্ছে তা আর মনে হবে না ।
তিনি আরো বলেন, দুঃখের সাথে বলতে হচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রতিটি শিক্ষক এক একটি ভোটে পরিণত হয়ে গেলো। এই পরিণতি বিশ্ববিদ্যালয়ে নিয়ে এসেছে এবং তার পরিণতিতে ছাত্র সংগঠন, প্রশাসন এবং আইনশৃঙ্খলা সাথে যুক্ত হয়েছে। যার কারণে আগে সেই পরিবেশের জায়গাটি নেই। তবে এই বিশ্ববিদ্যাল একটি একাডেমিক পরিবেশ ফিরিয়ে আনতে হবে। বিশ্ববিদ্যালটিতে প্রশাসনিক কর্তৃত্ব নিয়ে আসেন এবং সেখাবে ভয়ের পরিবেশের বদলে একজন শিক্ষার্থী যে তার নিজের পরিচয়, মর্যাদা ও অধিকারের জায়গাটি যেন বুঝে পায়, সে দিক নিয়েও কাজ করতে হবে।
সম্পাদনা : রেজাউল আহ্সান
আপনার মতামত লিখুন :