শিরোনাম
◈ ফরিদপুরে বাস-পিকআপ মুখোমুখি সংঘর্ষ, নিহত ১২  ◈ ইরানের হামলার জবাব দেবে ইসরায়েল: সেনাপ্রধান ◈ সৌদিতে কোরবানি ঈদের সম্ভাব্য তারিখ ঘোষণা ◈ শ্রম আইন লঙ্ঘনের সাজাপ্রাপ্ত মামলায় স্থায়ী জামিন চাইবেন ড. ইউনূস ◈ ছুটি শেষে ঢাকায় ফিরছে কর্মজীবী মানুষ ◈ স্বাস্থ্যখাতে নতুন অশনি সংকেত অ্যান্টিবায়োটিক রেজিস্ট্যান্স: স্বাস্থ্যমন্ত্রী  ◈ কৃষি খাতে ১০ শতাংশ প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যে তিন  বছরে সাড়ে ৩৮ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ ◈ বাংলাদেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধি ৬.১ শতাংশ: এডিবি ◈ বাংলাদেশে পালিয়ে এসেছে বিজিপির ১৪ সদস্য ◈ ৬০ লাখ নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে মামলার তালিকা প্রকাশ করুন: মির্জা ফখরুলকে ওবায়দুল কাদের

প্রকাশিত : ০৬ মার্চ, ২০১৯, ০৪:৫০ সকাল
আপডেট : ০৬ মার্চ, ২০১৯, ০৪:৫০ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

শেরপুরে আলুর বাম্পার ফলনের আশাবাদী চাষীরা

তপু হারুন: ব্যস্ততা বেড়েছে শেরপুরের আলুচাষিদের। চলতি মৌসুমে ব্যাপক হারে আলুর চাষ করেছেন এ অঞ্চলের কৃষক। আবহাওয়া বিরূপ না হলে এবার আলুর বাম্পার ফলনের আশা করছেন শেরপুর সদর উপজেলার চাষিরা।

গত মৌসুমে আলুর ফলন বিপর্যয় ও দাম না পেয়ে চরম ক্ষতির মুখে পড়েন চাষিরা। পূর্বের অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে এবছরও বিপুল পরিমাণ জমিতে আলু চাষ করেছেন চাষিরা। শেরপুর জেলার নকলা ও শেরপুর সদর সহ ২টি উপজেলাতেই আলু চাষের জন্য বিখ্যাত । শেরপুর সদরের পৌরসভা লছমনপুর, বলাইচর, চরপক্ষিমারী,কামারেরচর, চরমোচারিয়া, এবং নকলার চন্দ্রকোনা, বানেশ্বরদী,চর-অষ্টাধর, পাঠাকাঠা ও পৌরসভা সহ বেশ কয়েকটি এলাকার মাঠ জুড়ে দেখা যায় আলুরক্ষেত। ক্ষেত থেকে আলু উত্তোলনের সময় কাঙ্খিত দাম পাবেন কি না তা নিয়ে চরম অনিশ্চয়তায় চাষিরা।

জেলা সদরের পশ্চিম ছয়ঘডি পাড়ার ইয়াদ আলী জানান, খারাপ আবহাওয়া ও আলুর বাজারদর কম থাকায় গতবার বিঘাপ্রতি ৫ থেকে ১০ হাজার টাকা লোকসান গুণতে হয়। এ বছর বেড়েছে সার, কীটনাশক ও শ্রম ব্যয়। সাথে যোগ হয়েছে বীজের দামও। সব মিলিয়ে হেক্টর প্রতি এবারের উৎপাদন ব্যয় ৫০ হাজার টাকা।

এদিকে শেরপুর সদর উপজেলার বি.এ. ডি.সি উপ-পরিচালক, কৃষিবিদ সাজেদুর রহমান বলেন এ বছর শেরপুর আলুর বাম্পার ফলন হবে। চলতি মৌসুমে জেলা-সদরের ৫৭০-একর জমিতে বিভিন্ন জাতের আলু চাষ হয়েছে। অন্যান্য বছরে ক্ষেতে ভাইরাস জনিত রোগের প্রকোপ দেখা দিলেও এবছর তেমন কোনও সমস্যায় পড়তে হয়নি কৃষককে।

নকলা উপজেলার চন্দ্রকোনা এলাকার কৃষক আমজাদ আলী জানান, এ বছর ক্ষেতের লক্ষণ দেখে ভালো মনে হচ্ছে। আর ১/২ সপ্তাহের মধ্যে এসব জমি থেকে আলু তোলা হবে। ইতোমধ্যে কিছু জমির আলু বাজারে তোলা হয়েছে। কেজিপ্রতি ১৫ থেকে ২০ টাকা বিক্রি হচ্ছে।

শেরপুর সদর উপজেলার পশ্চিম মাঝপাড়ার ,কৃষক মিজানুর রহমান বলেন, বিরূপ আবহাওয়ার কারণে গত কয়েক বছর আলু চাষে লোকসান হচ্ছে। তবে এ মৌসুমে উপযুক্ত আবহাওয়ায় ভালো ফলনের আশা করছি। কিন্তু শেষ পর্যন্ত কী হবে বুঝতে পারছি না। কোল্ড স্টোরেজগুলো বড় বড় ব্যবসায়ীরা দখলে নেওয়ায় সমস্যা হতে পারে। তারা অতীতের মতো কৃষককে জিম্মি করে পানির দরে আলু কিনে কোল্ড স্টোরেজে মজুদ রাখার আগাম প্রস্তুতি নিচ্ছে।

কৃষকরা জানান, আলুর দাম মণ প্রতি যদি ৮শ’ থেকে ১ হাজার টাকা হলে লাভবান হওয়া যাবে। কিন্তু দাম পাওয়া যায় ৫শ’ থেকে ৬শ’ টাকা। সেক্ষেত্রে তাদের অনেক ক্ষতি হয়।

সদর উপজেলার উপ-সহকারী কৃষি অফিসার মো. বাবুল মিয়া বলেন এ বছর আলুর চারা খুব ভালো হয়েছে। তবে, চাষিদের মনে একটু ক্ষোভ রয়েছে যে, আলুর দাম যেভাবে কমে আসছে এভাবে কমলে তাদের অনেক ক্ষতি হবে। আমরা কৃষকদের সুষম মাত্রায় সার ও কীটনাশক ব্যবহারের জন্য পরামর্শ দিয়ে থাকি।

শেরপুর সদর উপজেলার শেরীঘাটে বি. এ. ডি. সি, উপ-পরিচালক-কৃষিবীদ সাজেদুর রহমান বলেন, শীত বাড়লে আলুর ফলনও ভাল হয়। এ জেলায় কার্ডনাল, ডায়মন্ডসহ বিভিন্ন জাতের আলু চাষ হয়েছে। এরমধ্যে সদরে রেকর্ড সংখ্যক জমিতে আলু আবাদ হয়ে।

শেরপুর সদর উপজেলা বি. এ. ডি.সি সূত্রে জানাযায়- ২০০১ সালে মাত্র ৮টি ব্লক নিয়ে শুরু হয় শেরপুর সদর উপজেলার . বি. এ. ডি.সি হিমাগার ,উৎপাদন তখন লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৩৮৬ টন, সেখানে অর্জৃন ৩৬৯ টন । সর্বোচ্চ লক্ষমাত্রা ২০১৩-১৪ সালে ২৭৫১.১২০ লক্ষ্যে ও অর্জর্ন ২৮২৮.২০০ । এরপর-২০১৫-১৬ সালে ৩৭টি ব্লকে ২৪৯১.৫৪০ এবং ২৪৮৪..৫৪০ উৎপাদন ১৬-১৭ সালে ২২৫০.০০ লক্ষ্য মাত্রায় ২৩২৪.০৮ এবং ২০১৭-১৮ সালে ২৪৪৭.৩৪ লক্ষ্য মাত্রায় উৎপাদন ২৪১২.৭২ এবং ২০১৮ সালে ৩৯টি ব্লকে প্রায় ৫৭০ একর জমিতে ২৪৬৬.০০ লক্ষ্য মাত্রা সেখানে অর্জৃন ও ২৬৬৬ .০০ হতে পারে বলে কৃষকেরা আশাবাদী ।

শেরপুর সদর বি. এ.ডি.সি হিমাগার অফিসে ১৭ জন ষ্টাফের মধ্যে ৯ জন ষ্টাফ এবং দীর্ঘদীন হিসাব রক্ষকের কাজ করানো হয়েছে , একজন ফোরম্যান কে দিয়ে, তিনিও গত বছর অবসরে চলে গেছেন । এখন মেকানিক দিয়ে চালানো হচ্ছে হিসাব রক্ষকের কাজ । এখনো ২ জন মেকানিক একজন ফোরম্যান নেই । ১-জন- উপ-পরিচালক, ১জন এডি, ও একজন ডিএ চালানো হচ্ছে পুরো মাঠে । আমাদের নিজস্ব হিমাগাড় সংরক্ষনে ১, একহাজার টনের । উৎপাদনের তুলনায় অনেক কম। ক্ষমতা-লক্ষ্যমাত্রার অর্জন বেশী । তাই এখানে আরো ১ একহাজার টনের একটি গোডাউনের প্রয়োজন বলে মনে করেন কৃষকেরা ।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়