সমীরণ রায়: বেগম খালেদা জিয়া অসৌজন্যতা দেখালেও, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরকে অসুস্থ অবস্থায় দেখতে এসে সহমর্মিতা প্রকাশ করেছেন বিএনপির সিনিয়র নেতারা। এ জন্য তাদের ধন্যবাদ জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক এবং তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
সোমবার জাতীয় প্রেসক্লাবে ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন (ডিইউজে) আয়োজিত প্রয়াত সাংবাদিক মো. শাহ আলমগীরের স্মরণ সভায় বিএনপি নেতাদের ধন্যবাদ জানিয়ে তিনি বলেন, রোববার রাতে বিএনপির মহাসচিব ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কিমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেনসহ কয়েকজন সিনিয়র নেতা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরকে দেখতে আসেন হাসপাতালে। এ সৌজন্যতা ও সহমর্মিতার জন্য তাদেরকে ধন্যবাদ জানাই। রাজনীতিতে সৌজন্যতা ও সহমর্মিতা থাকা উচিত।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, বেগম খালেদা জিয়ার পুত্র আরাফাত রহমানের মৃত্যু সংবাদ শুনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সমবেদনা জানাতে গেলে দশ মিনিট দাঁড়িয়ে থাকার পরও দরোজা খোলা হয়নি। খালেদা জিয়া সৌজন্যতা রক্ষা করেননি। তাই সৌজন্যতা দেখাতে খালেদা জিয়া ব্যর্থ হলেও, বিএনপি'র সিনিয়র নেতারা হাসপাতালে গিয়ে যে সৌজন্যতা ও সহমর্মিতা দেখিয়েছেন। এ জন্য তাদের সাধুবাদ জানাই। এর আগে প্রয়াত সাংবাদিক ও পিআইবির মহাপরিচালক মো. শাহ আলমগীরকে তরুণ প্রজন্মের সাংবাদিকদের জন্য এক অনন্য উদাহরণ হিসেবে বর্ণনা করেন ও তার আত্মার শান্তি কামনা করেন।
ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন সভাপতি আবু জাফর সূর্যের সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য রাখেন প্রধানমন্ত্রীর তথ্য উপদেষ্টা ইকবাল সোবহান চৌধুরী, বিএফইউজে'র সাবেক সভাপতি মঞ্জুরুল আহসান বুলবুল, সাংবাদিক কুদ্দুস আফ্রাদ প্রমুখ।
এছাড়াও আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের দ্রæত সুস্থতা কামনা করে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এ্যাভিনিউয়ে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগ আয়োজিত দোয়া ও মিলাদ মাহফিলেও যোগ দেন হাছান মাহমুদ। এসময় ওবায়দুল কাদেরের জন্য সবার কাছে দ্রæত সুস্থতার জন্য দোয়া চান এবং তিনি সুস্থ হয়ে ফিরবেন বলেও আশাবাদ ব্যক্ত করেন হাছান মাহমুদ। ঢাকা দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি হাজী আবুল হাসনাতের সভাপতিত্বে উপস্থিত ছিলেন সহ-সভাপতি রুহুল আমিন রুহুল, ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক কামাল চৌধুরী, সাংগঠনিক সম্পাদক হেদায়েতুল ইসলাম স্বপন প্রমুখ।
আপনার মতামত লিখুন :