শিরোনাম
◈ দক্ষিণ ভারতে ইন্ডিয়া জোটের কাছে গো-হারা হারবে বিজেপি: রেভান্ত রেড্ডি ◈ সাভারে শো-রুমের স্টোররুমে বিস্ফোরণ, দগ্ধ ২ ◈ ইরানের ওপর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের নতুন নিষেধাজ্ঞা ◈ আবারও বাড়লো স্বর্ণের দাম  ◈ চলচ্চিত্র ও টিভি খাতে ভারতের সঙ্গে অভিজ্ঞতা বিনিময় হবে: তথ্য প্রতিমন্ত্রী ◈ ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিনয় মোহন কোয়াত্রার ঢাকা সফর স্থগিত ◈ বিএনপি নেতাকর্মীদের জামিন না দেওয়াকে কর্মসূচিতে পরিণত করেছে সরকার: মির্জা ফখরুল ◈ ব্রিটিশ হাইকমিশনারের সঙ্গে বিএনপি নেতাদের বৈঠক ◈ মিয়ানমার সেনার ওপর নিষেধাজ্ঞা থাকায় তাদের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ করা সম্ভব হচ্ছে না: সেনা প্রধান ◈ উপজেলা নির্বাচন: মন্ত্রী-এমপিদের আত্মীয়দের সরে দাঁড়ানোর নির্দেশ আওয়ামী লীগের

প্রকাশিত : ০১ মার্চ, ২০১৯, ০৬:১৬ সকাল
আপডেট : ০১ মার্চ, ২০১৯, ০৬:১৬ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

বেগম জিয়াকে মুক্ত করা ১৫ দিনের ব্যাপার বললেন, মাসুদ আহমেদ তালুকদার

মঞ্জুর মোর্শেদ : বেগম খালেদা জিয়ার আইনজীবী অ্যাডভোকেট মাসুদ আহমেদ তালুকদার বলেন, খালেদা জিয়ার অসুস্থতার ব্যাপারে সরকারের কোনো ভুমিকা দেখা যাচ্ছে না। আমাদের কোনো কথাই তারা কর্ণপাত করছেন না। অরাজনৈতিক অথবা মানবিকভাবে বিবেচনা করেছেন না বর্তমান সরকার। সাড়ে তিন মাস আগে বেগম খালেদা জিয়াকে হাইকোর্টের নির্দেশে ভর্তি হওয়া বঙ্গবন্ধু মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় থেকে চিকিৎসা অসমাপ্ত রেখে নেয়া হলো কারাগারে। তারপর থেকে রক্ত পরীক্ষা, নিয়মিত প্রেসার চেক, নিয়মিত থেরাপি কিছুই দেয়া হচ্ছে না। চ্যানেল ২৪

বিএনপির মহাসচিব এই বিষয়গুলো বার বার অভিযোগ উপস্থাপন করেছেন। ৭৩ বছরের একজন বয়স্ক নারী, তিনি ৩ বারের প্রধানমন্ত্রী তার চিকিৎসার ব্যাপারে যে নিয়মগুলো প্রতিপালন করার কথা সেগুলো করা হচ্ছে না। বিষয়টি কতো অমানবিক তা ভাষায় প্রকাশ করা যায় না। একটি রাজনৈতিক দলের নেতা সে তার দৈনন্দিন কাজের মতো যদি বলে যান , এটাকে বিবেচনায় না নিয়ে যদি পরিহাস করতে থাকেন সেটির উত্তর দেয়া সম্ভব হয় না। তবে আমাদের মধ্যে একটি আর্শ্চায্য জনক একটি প্রতিক্রিয়া কাজ করে , আমরা বিব্রত হই , লজ্জিত হই।

তিনি আরো বলেন, বেগম খালেদা জিয়ার মামলা যেহেতু রাজনৈতিক মামলা তাই মুক্তির ব্যাপার যদি বলা হয় , যারাই জেল খেটেছেন রাজনৈতিক নেতা তাদের মুক্তির একটাই উপায় হচ্ছে আইন। যদি এই আইন না থাকে আইন যদি সরকার নিয়ন্ত্রন করেন সেখানে আমাদের কিছু করার থাকে না। কারো সাজা হওয়ার সাথে তার ব্যক্তিগত চিকিৎসার কোনো সম্পর্ক নেই। এটি নিতান্তই মানুষের একটি অধিকার। তবে যারা কারাবন্দি তাদের প্রতিকারের বিধানটা হিসেব করা প্রয়োজন।

তিনি বলেন, কারাপ্রতিপক্ষ যখন চিকিৎসা দিতে অনীহা দেখায় তখন আমরা হাইকোর্টে গেলাম। আর সেখানকার নির্দেশে বঙ্গবন্ধু মেডিকেলে পাঠানো হয়। শুধু তাই নয় তাকে চিকিৎসা অসমাপ্ত রেখে যখন জেলখানায় নিয়ে যাওয়া হয় হাইকোর্টকে কমপ্লাই না করেই নেয়া হয়েছে। জেল কর্তৃপক্ষ উদাসীন বলেই আমাদের উচ্চ আদালতে যেতে হয়েছে। যদি মুক্তরাজনীতি করার পরিবেশ থাকতো তাহলে রাজনৈতিক আন্দোলন করা যেতো, প্রজাতন্ত্রের যাদের আমাদের নিরাপত্তা দেয়ার কথা , সেটি যদি তারা করতে পারতো তাহলে আমরা রাজনৈতিক কার্যক্রম করতে পারতাম। সরকার যদি আইনকে নিয়ন্ত্রন না করে , তাহলে বেগম জিয়াকে মুক্ত করা ১৫ দিনের ব্যাপার।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়