নুরুজ্জামান লাবু : সাংবাদিক হিসেবে, যদিও যুদ্ধ আমি চাই না, তবুও ভেবেছিলাম, যুদ্ধটা যদি বড় আকারে লাগে, ইস, যদি কাভার করতে পারতাম! কিন্তু ভারত-পাকিস্তানের সাম্প্রতিক উত্তাপে পানি ঢেলে দিলো এক পাইলট, জীবিত আটক হয়ে। তার নাম অভিনন্দন বর্তমান। এখন পাকিস্তান এমন একটা জিনিস হাতে পেয়েছে যার জীবন-মরনের ইস্যুটা কাজে লাগাবে, ভারতকে নমনীয় করতে। ফলে পাল্টা জবাব না দেয়ার পর্যাপ্ত সক্ষমতা না থাকলেও পাকিস্তান এখন খোশ মেজাজে।
এইদিকে ভারতে নরেন্দ্র মোদির বিজেপি নির্বাচন নিয়ে যতোটা শঙ্কায় ছিলো, সেইটা ওভারকাম করেছিলো সার্জিক্যাল স্ট্রাইকের মাধ্যমে। সেইটাতে পাইলট ধরা খেয়ে নতুন সংকটে ফেলছে নরেন্দ্র মোদীর সরকারকে। এতে লাভবান হবে কংগ্রেস বা অন্যান্য বিরোধী দলগুলো। কারণ এরই মধ্যে পাইলটকে যেকোনো ভাবে ফিরিয়ে আনতে জনমত বাড়ছে ভারতের সাধারণ মানুষের মধ্যে। এখন সিদ্ধান্তে সঠিক-বেঠিক নিয়ে কথা হবে। নত হয়ে তাকে ফিরিয়ে আনলেও সমালোচনা হবে, নতিস্বীকার করা নিয়ে। আবার ফিরিয়ে না এনে আগের অবস্থানে থাকলেও সমালোচনা হবে মানবিকতা নিয়ে। সো, বলা যেতে পারে নরেন্দ্র মোদির সরকার ও বিজেপি এখন ‘মাইনক্যা’ চিপায় পড়েছে!
যুদ্ধটা থামলে, আমি একবার কাশ্মীর যাবো। কাশ্মীরের উপত্যকায় আমি টানা কয়দিন মটকা মেরে পড়ে থাকবো। কাশ্মীরী কোনো এক বালিকার কাছ থেকে আমি তার বেঁচে থাকার গল্প শুনবো।
আহা জীবন! রাজনীতির মারপ্যাঁচে ঘুরপাক খাওয়া জীবন! ফেসবুক থেকে
আপনার মতামত লিখুন :