শিরোনাম
◈ দক্ষিণ ভারতে ইন্ডিয়া জোটের কাছে গো-হারা হারবে বিজেপি: রেভান্ত রেড্ডি ◈ ইরানের ওপর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের নতুন নিষেধাজ্ঞা ◈ আবারও বাড়লো স্বর্ণের দাম  ◈ ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিনয় মোহন কোয়াত্রার ঢাকা সফর স্থগিত ◈ বিএনপি নেতাকর্মীদের জামিন না দেওয়াকে কর্মসূচিতে পরিণত করেছে সরকার: মির্জা ফখরুল ◈ ব্রিটিশ হাইকমিশনারের সঙ্গে বিএনপি নেতাদের বৈঠক ◈ মিয়ানমার সেনার ওপর নিষেধাজ্ঞা থাকায় তাদের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ করা সম্ভব হচ্ছে না: সেনা প্রধান ◈ উপজেলা নির্বাচন: মন্ত্রী-এমপিদের আত্মীয়দের সরে দাঁড়ানোর নির্দেশ আওয়ামী লীগের ◈ বোতলজাত সয়াবিনের দাম লিটারে ৪ টাকা বাড়লো ◈ রেকর্ড বন্যায় প্লাবিত দুবাই, ওমানে ১৮ জনের প্রাণহানি

প্রকাশিত : ০১ মার্চ, ২০১৯, ০৩:৩১ রাত
আপডেট : ০১ মার্চ, ২০১৯, ০৩:৩১ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

সংসদের কার্যক্রমে বাংলা বর্ষপঞ্জি বঙ্গাব্ধ প্রচলন করার প্রস্তাব

আসাদুজ্জামান সম্রাট  : সর্বত্র বাংলা ভাষা ব্যবহারের অনীহা দেখে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন আওয়ামী লীগ দলীয় সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস। এজন্য তিনি নিজেদের মধ্য থেকেই বাংলা ভাষা ব্যবহারের সংসদের সকল কার্যক্রম বা কার্য পরিচালনায় ’বাংলা বর্ষপঞ্জি বঙ্গাব্দ প্রচলন’ করার প্রস্তাব করেছেন।

বৃহস্পতিবার রাতে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সংসদ অধিবেশনে পয়েন্ট অব অর্ডারে দাঁড়িয়ে তিনি এ প্রস্তাব করেন। তিনি স্পিকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলেন, ২১ ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস ও ফেব্রুয়ারিকে ভাষার মাস হিসেবে পালন করি। ভাষা শহীদদের প্রতি সন্মান প্রদর্শন করি। মাসব্যাপী ভাষার সন্মান-মর্যাদা রক্ষার কথা বলে থাকি, কিন্তু আসলেই কতটুক করেছি এবং কতটুক অবদান রাখছি? তিনি আরো বলেন, ভাষার অধিকার, ভাষার মর্যাদা, সন্মান রক্ষার লক্ষ্যে ভাষা শহীদরাই প্রাণ দেননি, জাতির পিতা দীর্ঘদিন কারাবরণ করেছেন। অগণিত ভাষা সৈনিক ত্যাগ স্বীকার করেছেন। ধীরেন্দ্র নাথ দত্তসহ অনেকেই তাঁদের জীবন উৎসর্গ করেছেন।

বঙ্গবন্ধু পরিবারের এই সদস্য বলেন, ১৯৭১ সালের পূর্বে হাজার বছর ধরে আমরা পরাধীন জাতি ছিলাম। কিন্তু সেই হাজার হাজার বছর ধরে আমাদের ভাষা সংস্কৃতি এবং ঐতিহ্যকে লালন করেছি ও ধারণ করেছি। শত আগ্রাসনকে প্রতিহত করে বাঙালি জাতির সত্তাকে জাগ্রত রেখেছি। কিন্তু ১৯৭৫ সালে পর থেকে মাত্র ৪৪ বছরে আমরা আমাদের সেই স্বর্কীয় সত্তা আজকে হারাতে বসেছি। তিনি আরো বলেন, জাতির পিতার কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই ব্যাপারে খুব উদ্বিগ্ন। তিনি অনেকগুলো উদ্যোগ নিয়েছেন, কিন্তু তারপরেও আমরা কেমন যেন পেরে উঠছি না। এজন্য আমরাই দায়ী। তিনি উদাহরণ টেনে বলেন, জাতীয় দৈনিকগুলো দেখেন, তাদের প্রতিবেদেনে অযথা ইংরেজী শব্দ ব্যবহার করছে। টিভি মাধ্যমেও ইংরেজী শব্দের মিশ্রণে যেমন করে সংবাদ পরিবেশন করছেন। বিজ্ঞাপনগুলো অযথা বিভিন্ন প্রকার ইংরেজি শব্দ প্রচার করছেন। আমরা ইংরেজি শিখেছি।

শেখ ফজলে নূর তাপস আরও বলেন, আমাদের দাদী সবসময় বাংলা বর্ষপুঞ্জি বলতেন, কিন্তু আজ সেই প্রচলন হারাতে বসেছি। আমরা জানি না আমাদের নাতিদের বাংলা বর্ষপুঞ্জি আদৌ জানাতে পারব কি না? শিখিয়ে যেতে পারব কি না? সরকারি কাগজপত্রগুলো আন্ষ্ঠুানিকভাবে শব্দ ব্যবহার করে থাকে বঙ্গাব্দ। তাই এই সংসদের কার্যক্রম বা কার্য পরিচালনায় বাংলা বর্ষপঞ্জির ব্যবহারের অভাব রয়েছে। তাই আমি আপনার দৃষ্টি আকর্ষণ করছি, সংসদের কার্যক্রমে বাংলা বর্ষপুঞ্জি বঙ্গাব্দ প্রচলন করার জন্য। তবে কেউ যদি তাদের বক্তব্যে ইংরেজি ভাষাসহ অন্য শব্দ ব্যবহার করেন তাহলে কার্যক্রমে যেন সেই শব্দটির পরিবর্তে বাংলা শব্দটি সন্নিবেশ করা হয়।তাঁর বক্তব্যের সমর্থন করে বিরোধী দল জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য মুজিবুল হক চুন্ন বলেন, ১৯৮৭ সালে বাংলা ভাষা প্রচলন আইন করেছিলাম। সেই বাংলা ভাষা বাস্তবায়ন আইনে আছে রাষ্ট্রীয়কাজে স্বীকৃত ইংরেজি ছাড়া অন্য কোথাও বাংলা ব্যবহার করা হলে সাজা হবে। কিন্তু আজ পর্যন্ত কোন সরকারই সেই বাংলা ভাষা ব্যবহারের কোনো উদ্যোগ নিয়েছেন বা সাজা হয়েছে- এরকম কোনো রেকর্ড নেই। সবচেয়ে বড় কথা ১৯৯১ সালে হাইকোর্টের একটি রিট এ বলা হয়েছে, সংবিধানে রাষ্ট্রের ভাষা বাংলা, কিন্তু আমাদের উচ্চ আদালতে বাংলা এবং ইংরেজি দুই ভাষাই চলবে। সিভিল কোর্টে লেখা আছে আদালতের ভাষা বাংলা এবং ইংরেজি হবে। এই সিপিসি’র ওই সেকশনের কারণে উচ্চ আদালত ওই রায় দিয়েছেন। যদি সিপিসি সংশোধন করা হয় তাহলে রাষ্ট্রের পক্ষে বাংলা ভাষা ব্যবহার সহজ হবে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়