নূর মাজিদ : কাশ্মীরের নিয়ন্ত্রণ রেখা জুড়ে ভারত এবং পাকিস্তানের মধ্যে সংগঠিত পাল্টাপাল্টি বিমান হামলার জেরে পূর্ণযুদ্ধের আশঙ্কায় ভারত-পাকিস্তান উভয় দেশের পুঁজিবাজার অস্থিতিশীল হয়ে উঠেছে। গত মঙ্গল এবং বুধবার পরমাণু শক্তিধর প্রতিবেশী দেশদুটি পর¯পরের ভূ-খন্ডে যে বিমান হামলার মাধ্যমে আগ্রাসী আচরণ প্রদর্শন করছে, তার কারণেই এই পূর্ণযুদ্ধের শঙ্কা করা হচ্ছে। যার প্রভাব পড়ছে পুঁজিবাজারে। রয়টার্স, ইয়াহু নিউজ
একইসঙ্গে, কাশ্মীরের নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর দুই পক্ষের সেনাবাহিনীর মাঝে অন্তত এক ডজন স্থানে বিগত কয়েক দিন ধরে তুমুল গোলাগুলি চলছে। গত বুধবার ভারতের কোয়ান্টাম সিকিউরিটি নামক একটি পুঁজিবাজারের বিনিয়োগ পরামর্শক কো¤পানির পরিচালক নিরাজ দেওয়ান বলেন, ‘সীমান্তে যতদিন গোলযোগ চলবে, ভারতের পুঁজিবাজারে ততোদিন অস্থিতিশীলতা বজায় থাকবে।’
এইদিন ভারতের এনএসই নিফটি বাজার সূচক দশমিক ২৬ শতাংশ কমে ১০ হাজার ৮০৬ দশমিক ৬৫ পয়েন্টে নেমে আসে। বিএসই সেনসেক্স সূচকও দশমিক ১৯ শতাংশ নিম্নমুখী হলে বাজারটির মোট পয়েন্ট ৩৫ হাজার ৯০৫ দশমিক ৪৩-এ এসে দাঁড়ায়। এদিকে যুদ্ধের সম্ভাবনা নিয়ে বাজার বিশেষজ্ঞদের মাঝে যে শঙ্কা কাজ করছে তা ¯পষ্ট হয়ে ওঠে ওপর এক বাজার বিশেষজ্ঞের ভাষ্যে। মতিলাল অসওয়াল সিকিউরিটির গবেষক সিদ্ধার্থ খেমকা বলেন, ‘এখন একটাই চিন্তা সবার মাঝে কাজ করছে। সেটা হলো বর্তমানে পরিস্থিতি যতোটা খারাপ তার চাইতেও না খারাপ হয়ে যায়। বিশেষ করে, বড়কিছু(যুদ্ধ শুরু) যদি হয়েই যায় তবে ভূ-রাজনৈতিক দৃশ্যপট কেমন হবে সেটা নিয়েও বাজারের লেনদেনকারীদের মাঝে উদ্বেগ কাজ করছে।’ এই কারণেই বাজার কিছুটা সংরক্ষনবাদি ও সচেতন আচরণ করবে বলে ধারনা তার। কারণ এখন মানুষ নতুন বিনিয়োগের ঝুঁকি কিছুটা এড়িয়ে চলবেন।
গতকাল বৃহ¯পতিবার এনএসই বাজার সূচক দিনের শুরুতে দশমিক ৯৬ শতাংশ বাড়ে, তবে কিছুক্ষণ পরেই তা আবারো দশমিক ৭৮ শতাংশ কমে যায়। সেই তুলনায় বিএসই বাজার সূচক ১ দশমিক ১ শতাংশের উচ্চসূচক নিয়ে লেনদেন শুরু করে। কিছুক্ষণ পরেই তা দশমিক ৭ শতাংশ কমে যায়।
এদিকে পাকিস্তানের করাচি স্টক এক্সচেঞ্জের কেএসই১০০ সূচক দশমিক ৩৩ শতাংশ কমে বুধবারে। দিনশেষে বাজারটির সূচকের অবস্থান ছিলো ৩৮ হাজার ৬৯২ দশমিক ৬৯ পয়েন্টে। অন্যদিকে কেএমআই৩০ বাজার সূচক দশমিক ৪৬ শতাংশ কমে ৬৪ হাজার ৯৬৭ দশমিক ১৮ পয়েন্টে এসে দাঁড়ায়।
এদিকে দেশদুটির মাঝে বিদ্যমান যুদ্ধের শঙ্কা বিদেশী বিনিয়োগকারীদের বিমুখ করতে পারে বলে জানিয়েছেন হিতেশ আগরওয়াল। তিনি ভারতের রেলিগোর ব্রোকিংয়ের ভাইস প্রেসিডেন্ট। তিনি জানান, বিদেশী উদ্যোক্তারা উদ্বিগ্ন হলে উভয় দেশেরই মুদ্রা এবং বন্ডের বাজার চাপের মুখে পড়বে।
আপনার মতামত লিখুন :