মাহফুজ নান্টু: সীমান্তে অপরাধ প্রবনতা হ্রাস ও দু'দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রেখে টহল পরিচালনা টহল ব্যবস্থাপনাসহ যৌথ আভিযানিক দক্ষতা অধিক কার্যকর করার লক্ষ্যে কুমিল্লা জেলার বিবির বাজার সীমান্তে চোরাচালান ও অপরাধীদের প্রতিরোধকল্পে “ময়নামতি মৈত্রী” নামক যৌথ অনুশীলন পরিচালনা পরিকল্পনা প্রশিক্ষণ ও মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিান সম্পন্ন হয়।
আজ বেলা ১২ টায় মতবিনিময় সভায় জানানো হয় যৌথ অনুশীলন বিবির বাজার সীমান্ত ঘিরে সীমান্ত কার্যক্রমের প্রধান পাঁচটি বিষয়ের উপর গুরাত্বারোপ করা হয়। যার মধ্যে দুই সীমান্ত রক্ষী বাহিনী দ্বারা সমন্বিত অভিযান পরিচালনা করা, সীমান্তে স্পর্শকাতর পয়েন্ট গুলোতে চোরাচালান বন্ধে যৌথ অভিযান পরিচালনা করা, কুমিল্লা সীমান্তে গোমতী নদীর উপর দিয়ে বিভিন্ন নিষিদ্ধ পণ্য চোরাচালান প্রতিরোধ করা, দুই সীমান্ত রক্ষী বাহিনী দ্বারা যৌথ টহল পরিচালনা করা, পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে বিভিন্ন বিষয় মীমাংসা করা।
দু'দিন ব্যাপী “ময়নামতি মৈত্রী” অনুশীলনের ১ম কার্যদিবসে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে ১০ বিজিবির অধিনায়ক, স্টাফ অফিসার, কুমিল্লা ব্যাটালিয়ন এবং বিএসএফ এর ৩ জন স্টাফ অফিসার উপস্থিত ছিলেন।
অনুশীলনে ৩০ জন বিজিবি সদস্য এবং ৩০ জন বিএসএফ সদস্যের প্রত্যক্ষ উপস্থিতিতে যৌথ আইসিপি ডিউটি, নদী পথে যৌথ টহল এবং পতাকা বৈঠক বিষয়ের উপর অনুশীলন পরিচালনা করা হয়।
গোমতী নদীর নিকটবর্তী বিবির বাজার সীমান্তে স্বাভাবিক এবং সাধারণ সমস্যাদির উপর নজর রেখে উক্ত অনুশীলনের রূপরেখা সস্প্রসারণ করা হয়েছে। এই অনুশীলনের সকল প্রকার আভিযানিক কার্যক্রম বিবির বাজার আইসিপির নিকটবর্তী স্থানে পরিচালনা করা হয়েছে। বাস্তবতার নিরীখে ও সীমান্ত এলাকায় প্রকৃত ঘটনা সমূহের উপর ভিত্তি করে যথার্থ দৃশ্যপট ফুটিয়ে তোলার মাধ্যমে বিজিবি-বিএসএফ যৌথ অনুশীলনের কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে।
১০ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অতিরিক্ত পরিচালক আবদুল্লাহ আল ফারুকি জানান, ময়নামতি মৈত্রী নামক মতবিনিময় ও অনিশীলনের মাধ্যমে জনসাধারণ ও জানমালের নিরাপত্তা ব্যাহত না করে উন্নত প্রশিক্ষণ ও পরস্পর বোঝাপড়া সক্ষমতা বৃদ্ধিতে উক্ত যৌথ অনুশীলন নিয়ন্ত্রণ ও মঞ্চস্থ করা হয়েছে যা যৌথ পরিবেশে উভয় দেশের মধ্যে পারস্পারিক বোঝাপড়া বৃদ্ধির লক্ষ্যে সীমান্তরক্ষী বাহিনীর বিভিন্ন প্রকারের দায়িত্ব পালনে সহায়ক হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।
আপনার মতামত লিখুন :