লিহান লিমা: মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উন হ্যানয়ের বৈঠকে কোন ধরনের সমঝোতায় পৌঁছতে ব্যর্থ হয়েছেন। কিম উত্তর কোরিয়ার ওপর থেকে সব ধরনের অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়ার পূর্বশর্ত দেয়ায় পারমাণবিক সমঝোতা ভেস্তে যায়। বিবিসি, সিএনএন, আল-জাজিরা, দ্য গার্ডিয়ান
বৃহস্পতিবার ট্রাম্প-কিম বৈঠকের পর হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র সারাহ হাকেবি স্যান্ডার্স বলেন, ‘কোন ধরনের চুক্তি বা সমঝোতা হয় নি, কিন্তু দুই নেতাই ভবিষ্যত অগ্রগতির দিকে চেয়ে আছেন।’
সংবাদ সম্মেলনে ট্রাম্প বলেন, ‘চুক্তি স্বাক্ষরের জন্য নথি প্রস্তুত। তবে আমি খুব তাড়াতাড়ি কাজ করার বদলে সঠিকভাবে করতে চাই। বর্তমান মার্কিন প্রশাসন পূর্ববর্তীদের চাইতে উত্তর কোরিয়া ইস্যুতে বিশেষ কিছু করবে। কিম আর কোন পারমাণবিক পরীক্ষা না করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। আমি তার কথা বিশ্বাস করি।’ এই সময় কোন সমঝোতা না হওয়ার প্রসঙ্গে ট্রাম্প বলেন, ‘উত্তর কোরিয়া সব নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার চায়, তবে আমরা এটি করতে পারছি না। ’
কোন চুক্তি স্বাক্ষরিত না হওয়ায় সংবাদ সম্মেলনের পরপরই ভিয়েতনাম ছাড়েন ট্রাম্প। বাতিল করা হয় চুক্তি স্বাক্ষর পর্ব অনুষ্ঠানও। কিম শুক্রবার পিয়ংইয়ংয়ের উদ্দেশ্যে রওনা দেবেন। এয়ারফোর্স ওয়ানে থাকাকালেই দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট মুন জে ইন ও জাপানের প্রেসিডেন্ট শিনজো অ্যাবেকে সম্মেলন সম্পর্কে ফোনে অবগত করার কথা রয়েছে ট্রাম্পের। বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, দ্বিতীয় ট্রাম্প-কিম সম্মেলন নিয়ে আন্তর্জাতিক বিশ্বের নেতারা ও রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা আশা প্রকাশ করেছিলেন, ট্রাম্প-কিম পরমাণুনিরস্ত্রীকরণ নিয়ে সমঝোতায় পৌঁছাবেন। শীর্ষ সম্মেলনে দুই নেতা কোন সমঝোতায় পৌঁছতে ব্যর্থ হওয়ায় ইতোমধ্যেই ‘হতাশা’ প্রকাশ করেছে দক্ষিণ কোরিয়া।
এদিকে সম্মেলনের পূর্বে কিম সাংবাদিকদের জানান, আলোচনার টেবিলে তার উপস্থিতি নিরস্ত্রীকরণের প্রতি তার ইচ্ছারই বার্তা। তিনি বলেন, ‘যদি আমার এই বিষয়ে কোন সদিচ্ছা না থাকত, তবে আমি এখানে থাকতাম না। এই সময় ট্রাম্প বলেন, এটি সম্ভবত আপনাদের পাওয়া সেরা উত্তর।’ যদিও বৃহস্পতিবারের সংবাদ সম্মেলনে তৃতীয় ট্রাম্প কিম সম্মেলন সম্পর্কে কোন প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেন নি ট্রাম্প। তবে তিনি বলেন, ভবিষ্যত অগ্রগতি অব্যাহত থাকবে।
আপনার মতামত লিখুন :