শিরোনাম

প্রকাশিত : ২৮ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯, ০৫:৪২ সকাল
আপডেট : ২৮ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯, ০৫:৪২ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীদের দোষী করলেন সিইসি

কালাম আঝাদ ও মহসীন কবির: ভোটার উপস্থিতি কম থাকার কারণ হিসেবে রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীদের দোষী করলেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম (খান মুহাম্মদ) নূরুল হুদা। বৃহস্পতিবার উত্তরার পাঁচ নম্বর সেক্টরের আইইএস উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে নিজ ভোট দেওয়ার পর সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এমন মন্তব্য করেন। এর আগে সকাল সাড়ে ১০টার দিকে তিনি ভোট কেন্দ্রে যান। ভোটার উপস্থিতি কম থাকার দুটি কারণ উল্লেখ করে নূরুল হুদা আরও বলেন, ‘স্বল্প সময়ে বা এক বছরের জন্য মেয়র ও কাউন্সিলরদের নির্বাচন করা হবে। এ কারণে ভোটারদের আগ্রহ কম হতে পারে। আবার সব রাজনৈতিক দলের অংশগ্রহণ ও প্রার্থীদের প্রতিদ্বন্দ্বিতা না থাকায় ভোটার উপস্থিতি কম হতে পারে।’ নির্বাচনের পরিবেশ সুষ্ঠু কিনা, এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘কমিশনের পক্ষ থেকে নির্বাচনকে সুষ্ঠু করতে সব ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। তাই সুষ্ঠু না হওয়ার কোনও কারণ নেই।’

প্রসঙ্গত, উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র পদে ভেটাগ্রহণের পাশাপাশি উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) ১৮টি করে মোট ৩৬টি ওয়ার্ডে (সম্প্রসারিত) কাউন্সিলর পদে ভোট হয়। সকাল ৮টা থেকে ভোটগ্রহণ শুরু হয়ে চলে বিকাল ৪টা পর্যন্ত। আনিসুল হকের মৃত্যুর পর উত্তর সিটির মেয়র পদ শূন্য হয়ে পড়ে। এরই প্রেক্ষিতে অনুষ্ঠিত উপনির্বাচনে ঢাকা উত্তরের মেয়র পদে পাঁচ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। তারা হলেন– আওয়ামী লীগের প্রার্থী মো. আতিকুল ইসলাম (নৌকা), জাতীয় পার্টির মোহাম্মদ শাফিন আহমেদ (লাঙ্গল), ন্যাশনাল পিপলস পার্টির (এনপিপি) মো. আনিসুর রহমান দেওয়ান (আম), প্রগতিশীল গণতান্ত্রিক দলের (পিডিপি) শাহীন খান (বাঘ) এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী মোহাম্মদ আবদুর রহিম (টেবিল ঘড়ি)। ঢাকা উত্তর সিটিতে যুক্ত হওয়া ১৮টি সাধারণ ওয়ার্ডে ১১৬ জন এবং সংরক্ষিত ছয়টি ওয়ার্ডে ৪৫ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। অন্যদিকে, ঢাকা দক্ষিণ সিটির ১৮টি সাধারণ ওয়ার্ডে ১২৫ জন ও সংরক্ষিত ছয়টি ওয়ার্ডে ২৪ জন প্রার্থী নির্বাচনে অংশ নেন।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়