অনলাইন ডেস্ক : দলীয় সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে শপথ নেয়ার সিদ্ধান্ত জানালেন জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের ব্যানারে নির্বাচিত সুলতান মোহাম্মদ মনসুর ও গণফোরাম থেকে নির্বাচিত মোকাব্বির খান। এর এগেও এই দুজন শপথ নেয়ার কথা বলে সমালোচিত হয়েছিলেন। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মনসুর ধানের শীষ আর মোকাব্বির উদীয়মান সূর্য প্রতীকে নির্বাচন করে ছিলেন। মার্চ মাসেরই এই শপথ হতে পারে। তবে গণফোরাম থেকে বলা হচ্ছে দলীয় সিদ্ধান্তের বাইরে গেলে ব্যবস্থা নেয়া হবে। নয়াদিগন্ত, প্রথমআলো।
বুধবার বিকেলে মোকাব্বির খান বলেন, ‘মার্চের প্রথমদিকে শপথ নেয়ার সম্ভাবনা আছে। বিরোধী দলীয় সাংসদ হিসেবে যতটুকু ভূমিকা রাখা যায় চেষ্টা থাকবে।’ দলের সিদ্ধান্তের ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমার তো মনে হচ্ছে দলের চিন্তা ভাবনা ইতিবাচক।’
অন্যদিকে সুলতান মোহাম্মদ মনসুর বলেন, মার্চের ১৫ তারিখের মধ্যে তিনি শপথ নেবেন। জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট জোটবদ্ধ হওয়ার শুরু থেকে জড়িত ছিলেন সুলতান মোহাম্মাদ মনসুর। তবে শপথ নেয়াকে কেন্দ্র করে তাঁর সঙ্গে জোটের দূরত্ব তৈরি হয়। তাঁকে ঐক্যফ্রন্টের কোনো বৈঠকে দেখা যায় না।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে গণফোরামের একজন নেতা জানান, শপথের ব্যাপারে এখন দল ইতিবাচক না, ওই দুই প্রার্থীই ইতিবাচক। দলের সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে শপথ নিলে দল থেকে বহিষ্কার হয়ে যেতে পারেন। দলের সর্বশেষ বৈঠকে আলোচনা হয়েছে যে, ড. কামাল হোসেন যদি শপথ নেয়ায় সায় দেন, তাহলে সমালোচনা হবে। সম্মান থাকবে না।
গণফোরামের সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা মোহসীন মন্টু বলেন, ‘শপথ নেয়ার ব্যাপারে দল মোটেও ইতিবাচক না। আমরা বারবার এটার প্রতিবাদ করেছি। দলীয় সিদ্ধান্তের মধ্যেই তাঁদের সিদ্ধান্ত নিতে হবে। এর বাইরে গেলে দল তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে। আমরা বিশ্বাস করি, এটা জাতির সঙ্গে প্রতারণা হবে।’
শপথের ব্যাপারে গত ৫ জানুয়ারি গণফোরামের কেন্দ্রীয় কমিটির সভা শেষে সংবাদ সম্মেলনে ড. কামাল হোসেন বলেছিলেন, শপথের ব্যাপারে তাঁরা ইতিবাচক সিদ্ধান্ত নেবেন। অবশ্য তার পরদিন ঐক্যফ্রন্টের নেতাদের বৈঠক শেষে মোস্তফা মহসীন মন্টু সাংবাদিকদের জানান, তাঁরা কেউই শপথ নিচ্ছেন না। এ ছাড়া জানুয়ারির শেষ দিকে সুলতান মোহাম্মদ মনসুর ও মোকাব্বির খান শপথ নেবেন বলে জানান। তখন গণমাধ্যমে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে দিয়ে গণফোরাম জানায়, শপথ না নেয়ার সিদ্ধান্ত বহাল আছে।
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের ব্যানারে ধানের শীষ প্রতীকে নির্বাচন করে গণফোরাম। এতে বিএনপির ছয়জন ও গণফোরামের দুজন নির্বাচিত হন
আপনার মতামত লিখুন :