ডেস্ক রিপোর্ট : ভিয়েতনামের রাজধানী হ্যানয়ে আবারো মুখোমুখি হয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প ও উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উন। গতকাল সেখানকার সোফিটেল লেজেন্ড মেট্রোপোল হোটেলে রাতে দুই নেতার মধ্যে আনুষ্ঠানিক বৈঠক শুরু হয়। এর আগে তারা হাসিমুখে করমর্দন করেন, শুভেচ্ছা জানান পরস্পরকে। এসময় সাংবাদিকদের কিছু জিজ্ঞাসারও জবাব দিতে দেখা যায় তাদের। গতকাল রাতে এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত দুই নেতার বৈঠক চলছিল। ধারণা করা হচ্ছে, কোরিয়া উপদ্বীপকে পারমাণবিক অস্ত্রমুক্ত করা ও আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞা থেকে উত্তর কোরিয়ার মুক্তি নিয়ে আলোচনা করবেন তারা। এর আগে, গত বছরের ১২ই জুন সিঙ্গাপুরের সেনোসা দ্বীপে ইতিহাসে প্রথমবারের মতো মুখোমুখি হয়েছিলেন যুক্তরাষ্ট্র ও উত্তর কোরিয়ার সরকার প্রধান। তখন দুই নেতা কোরিয়া উপদ্বীপকে পারমাণবিক অস্ত্রমুক্ত করার অঙ্গীকার করেন।
তারা মোট ৪টি অঙ্গীকারনামায় সই করেছিলেন। সেগুলো হলো- পরস্পরের মধ্যে শান্তি ও সম্প্রীতির সম্পর্ক তৈরি, কোরিয়া উপদ্বীপে দীর্ঘ মেয়াদে একটি শান্তিপূর্ণ দেশ গঠন, উপদ্বীপকে পারমাণবিক অস্ত্রমুক্ত করা ও কোরিয়া যুদ্ধে নিহত সেনাদের দেহাবশেষ উদ্ধার। ওই বৈঠক ঘিরে ট্রাম্প নিজের অভাবনীয় সফলতা দেখালেও বিশ্লেষকরা বলছেন, ট্রাম্প-কিম প্রথম বৈঠক আসলে ফলপ্রসূ হয়নি। কেননা, এতে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কোরিয়া উপদ্বীপকে পারমাণবিক অস্ত্রমুক্ত করার জন্য কোনো সময়সীমা নির্ধারণ করা হয়নি। উত্তর কোরিয়া পারমাণবিক অস্ত্র ত্যাগ করার প্রতিশ্রুতি দিলেও একের পর এক রিপোর্ট আসতে থাকে যে, দেশটি গোপনে তাদের পারমাণবিক ক্ষেপণাস্ত্র তৈরির কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। এমন পরিস্থিতিতে আবারো মুখোমুখি হলেন উত্তেজনাপূর্ণ দুই দেশের সরকারপ্রধান। বৈঠক শুরুর আগে এর সফলতা নিয়ে আশাবাদ জানিয়েছেন দুজনেই। কিম জং উন বলেন- ‘এবারের বৈঠকে ভালো ফল আসবে, সবাই যাকে স্বাগত জানাবে। আমি এ বিষয়ে নিশ্চিত।’ আর ডনাল্ড ট্রাম্প বলেন- ‘কিমের সঙ্গে আমার চমৎকার সম্পর্ক। তাকে পারমাণবিক অস্ত্র ত্যাগ করার জন্য চাপ দেবো না।’ দুই নেতার এমন আন্তরিকতাপূর্ণ মন্তব্যে আশাবাদী হয়ে উঠেছে বিশ্ব সম্প্রদায়। আজও দুই নেতার মধ্যে বৈঠক চলবে।
এর আগে, ভিয়েতনামের প্রেসিডেন্ট গুয়েন ফু ত্রং-এর সঙ্গে বৈঠক করেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। সেখানে দুই দেশের প্রেসিডেন্ট একটি বাণিজ্যিক চুক্তি স্বাক্ষর করেন। এরপর ভিয়েতনামের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গেও বৈঠকের কথা রয়েছে ট্রামেপর।
ভিয়েতনাম পৌঁছেই টুইট করেছেন ট্রামপ। টুইটে তিনি লেখেন, মাত্র হ্যানয়ে পা রাখলাম। অসাধারণ অভ্যর্থনার জন্য ধন্যবাদ। এখানে দারুণ কোলাহল। সকলের জন্য অনেক ভালোবাসা।
আপনার মতামত লিখুন :