শিরোনাম
◈ দক্ষিণ আফ্রিকায় সেতু থেকে তীর্থ যাত্রীবাহী বাস খাদে, নিহত ৪৫ ◈ ভারত থেকে ১৬৫০ টন পেঁয়াজ আসছে আজ! ◈ ২২ এপ্রিল ঢাকায় আসছেন কাতারের আমির, ১০ চুক্তির সম্ভাবনা ◈ ইর্ন্টান চিকিৎসকদের দাবি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী’র সঙ্গে কথা বলেছি: স্বাস্থ্যমন্ত্রী ◈ নির্বাচনী বন্ড কেবল ভারত নয়, বিশ্বের সবচেয়ে বড় কেলেঙ্কারি: অর্থমন্ত্রীর স্বামী ◈ জনগণকে সংগঠিত করে চূড়ান্তভাবে বিজয় অর্জন করতে হবে: মির্জা ফখরুল ◈ উন্নয়ন সহযোগীদের একক প্ল্যাটফর্মে আসা প্রয়োজন: পরিবেশমন্ত্রী ◈ জিয়াউর রহমানের সময়ই দেশে বিভেদের রাজনীতির গোড়াপত্তন হয়: ওবায়দুল কাদের  ◈ এলডিসি উত্তরণের পর সর্বোচ্চ সুবিধা পাওয়ার প্রস্তুতি নিতে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ ◈ ড. ইউনূসের পুরস্কার নিয়ে ভুলভ্রান্তি হতে পারে: আইনজীবী 

প্রকাশিত : ২৮ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯, ০২:১৪ রাত
আপডেট : ২৮ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯, ০২:১৪ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

শিলাবৃষ্টিতে ইকোপার্কে শত শত পাখির প্রাণহানি

মঞ্জুর মোর্শেদ : নড়াইলের কালিয়া উপজেলার নড়াগাতি থানাধীন পানিপাড়া গ্রামের অরুনিমা রিসোর্ট গলফ ক্লাব ও ইকোপার্কে শত শত পাখি মারা গেছে। টানা দুদিনের বৈরি আবহাওয়া ও শিলাবৃষ্টি কারণে বিভিন্ন প্রজাতির দেশি ও অতিথি পাখি মারা গেছে। অরুনিমা রিসোর্ট গলফ ক্লাব ও ইকো পার্কের চেয়ারম্যান মোল্লা খবির উদ্দিন আহম্মেদ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। সময় টিভি

কৃষি পর্যটন কেন্দ্র অরুনিমার ব্যবস্থাপক মুনিব এইচ খন্দকার বলেন, সারাদেশের মতো নড়াইলেও হালকা ও ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি শুরু হয়েছে। মঙ্গলবার ভোর রাতের দিকে পানিপাড়া অরুনিমা রিসোর্ট গলফ ক্লাব ও ইকোপার্ক এলাকায় ঝড়ো হাওয়ার ও বৃষ্টির সঙ্গে শিলাবৃষ্টি হয়। এই শিলাবৃষ্টির কারণে ইকোপার্কের ভেতর বিভিন্ন গাছে থাকা শত শত দেশি ও অতিথি পাখি মারা গেছে। ভোরে মৃত পাখিগুলো দেখে অরুনিমা রিসোর্ট গলফ ক্লাব ও ইকোপার্কে কর্মরত কর্মকর্তা ও শ্রমিকরা কান্নায় ভেঙে পড়েন।

ব্যবস্থাপনা পরিচালক ইরফান আহম্মেদ বলেন, প্রায় ৬০ একর এলাকা জুড়ে গড়ে উঠা অরুনিমা রিসোর্ট গলফ ক্লাব ও ইকো পার্কের বিভিন্ন গাছে দেশি-বিদেশি বিভিন্ন প্রজাতির কয়েক হাজার পাখির বাসস্থান। প্রতিদিন বিকেল ও সন্ধ্যা বেলা পানকৌড়ি, চিকেড়, শামুকখোলা, বালুহাঁস, বক, কায়েম হাঁসপাখি, শালিখ, দোয়েল, ময়না, মাছরাঙ্গা, ঘুঘু, শ্যামা, কোকিল, টুনটুনি ও চড়ুইসহ বিভিন্ন প্রজাতির পাখির কিচিরমিচির শব্দে এলাকা মুখরিত হয়ে উঠে। পাখিগুলো এখানে ডিম পাড়তো ও বাচ্চা ফুটাতো।

তিনি আরো বলেন, বর্তমানে দেশের এ কৃষি পর্যটন কেন্দ্রটি পাখির অভয়ারণ্যে পরিণত হয়েছে। সকাল হলে পাখিগুলো খাবারের সন্ধানে দূর-দূরান্তে বেড়িয়ে পড়ে। বিকেল ও সন্ধ্যায় পাখিগুলো ফিরে আসে। এ দৃশ্য দেখার জন্য পাখি প্রেমিক ও পর্যটকরা নিয়মিত এখানে এসে ভিড় জমায়। ২০০৪ সাল থেকে প্রতি বছরই শীত মৌসুমে বছরের অধিকাংশ সময় বিভিন্ন প্রজাতির পাখির কলতানে মুখরিত হয় এই পার্কটি। পাখির জন্য সংরক্ষিত এলাকা ঘোষণা করায় একযুগ আগে থেকেই এলাকাটি পাখির গ্রাম নামে পরিচিত।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়