শিরোনাম
◈ ভুটানের রাজার সঙ্গে থিম্পু পৌঁছেছেন তথ্য প্রতিমন্ত্রী ◈ চট্টগ্রামের জুতার কারখানার আগুন নিয়ন্ত্রণে ◈ জিয়াও কখনো স্বাধীনতার ঘোষক দাবি করেনি, বিএনপি নেতারা যেভাবে করছে: ড. হাছান মাহমুদ ◈ আওয়ামী লীগ সবচেয়ে বড় ভারতীয় পণ্য: গয়েশ্বর ◈ সন্ত্রাসীদের ওপর ভর করে দেশ চালাচ্ছে সরকার: রিজভী ◈ ইফতার পার্টিতে আওয়ামী লীগের চরিত্রহনন করছে বিএনপি: কাদের ◈ বাংলাদেশে কারাবন্দী পোশাক শ্রমিকদের মুক্তির আহ্বান যুক্তরাষ্ট্রের ফ্যাশন লবি’র ◈ দক্ষিণ আফ্রিকায় সেতু থেকে তীর্থ যাত্রীবাহী বাস খাদে, নিহত ৪৫ ◈ ২২ এপ্রিল ঢাকায় আসছেন কাতারের আমির, ১০ চুক্তির সম্ভাবনা ◈ ইর্ন্টান চিকিৎসকদের দাবি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী’র সঙ্গে কথা বলেছি: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

প্রকাশিত : ২৭ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯, ১১:৪৪ দুপুর
আপডেট : ২৭ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯, ১১:৪৪ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

ভুল স্বীকার করতে হবে: মঈন খান

শিমুল মাহমুদ : মাঠ পর্যায়ের নেতাকর্মী ও সমর্থকদের অব্যাহত দাবির প্রেক্ষিতে বিএনপির সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরাম ‘জাতীয় স্থায়ী কমিটি’র সদস্য ড. মঈন খান বলেছেন, যে আন্দোলনের কথা আপনারা বলছেন, সেই আন্দোলন করতে হবে ঠাণ্ডা মাথায়।

তিনি বলেন, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্ত করে আগামীতে তার নেতৃত্বে একটি সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের মাধ্যমে এ দেশ এ দেশে বহুদলীয় গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার করব। আজকে যে আলোচনা হয়েছে পাশাপাশি আত্মসমালোচনা হয়েছে এতে আমি বিশেষভাবে সন্তুষ্ট। আত্ম সমালোচনা অবশ্যই আমাদের প্রয়োজন ।আমরা ভুল করলে অবশ্যই স্বীকার করতে হবে। যে সব ভুল নিজেদের ভেতরে বললে সমাধান হয় সেটা প্রকাশ্যে বলা যাবে না, আজ এটা প্রকাশ্যে বললে সমাধান হয় সেটা ভেতরে বলা যাবে না। এটা আমাদের বুঝতে হবে। প্রকাশে কিছু বলবে না ।আমাদের আগামী আন্দোলনের পরিকল্পনা করতে বাস্তবসম্মত। সেই বাস্তবতাকে মনে রাখতে হবে।

বুধবার দুপুরে সেগুন বাগিচায় স্বাধীনতা হলে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। ‘নাগরিক অধিকার আন্দোলন ফোরাম’ নামের একটি সংগঠন এই আলোচনা সভা আয়োজন করে।

ড. মঈন খান বলেন, ‘রাস্তায় গিয়ে পাঁচ/সাতজন মানুষ কথা বলতে পারি— সেই অবস্থা আজকের বাংলাদেশে নেই। এই যে বাস্তবতা, সেটা আমাদের প্রত্যেককেই বুঝতে হবে। আমরা আইয়ুবের শাসন দেখেছি, ইয়াহিয়ার শাসন দেখেছি, এরশাদের শাসন দেখেছি। ৫২ সালের ভাষা আন্দোলনে চারজন শহিদকে আমরা মনে রেখেছি। এই চারজন জীবন দিয়ে সারা পাকিস্তান তোলপাড় করে দিয়েছিল।’

তিনি বলেন, ‘ভাষা আন্দোলনে আমাদের স্বাধীনতার বীজ বপন করা হয়েছিল। কিন্তু ওই আন্দোলনে জীবন দিয়েছিলেন মাত্র চারজন। আইয়ুব খানের সময় রাজশাহীতে ড. জোহা, এরশাদের সময় জিপিও মোড়ে একটি মাত্র জীবন গিয়েছিল। ‘

মঈন খান বলেন, ‘যে বাস্তবতার কথা আমি বলছি সেটা হলো, বিগত ১০ বছরে বর্তমান স্বৈরশাসকের আমলে কত হাজার মানুষ জীবন দিয়েছে? কাজেই আজকের সরকারের সঙ্গে পূর্ববর্তী শাসকদের যে একটি কোয়ালিটি ডিফারেন্স, গুণগত ব্যবধান আছে, সেটি আপনারা ভুলে যাবেন না’।

তিনি বলেন, ‘কাজেই ৫২’র আন্দোলন ও ৬৯’র আন্দোলনের সঙ্গে আজকের আন্দোলনের গুণগত ফারাক থাকতে হবে। যদি সেই ফারাক না থাকে, তাহলে এই আন্দোলন সফল হবে না। হুট করে রাস্তায় নেমে দু’টো স্লোগান দিলাম, গুলি খেয়ে প্রাণ হারালাম। কারণ, এই সরকার আমাদেরকে ছাড়বে না। এই সরকারকে কাবু করতে হলে ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন করতে হবে।’
‘আজকে এই পরিস্থিতি থেকে পরিত্রাণের একটি মাত্র উপায়, শান্তিপূর্ণ গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় এই সরকারকে বিদায় দিতে হবে, এই সরকারকে বিদায় নিতে হবে। আর এই সরকারকে বিদায় দিতে হলে যে আন্দোলনের কথা আপনারা বলেছেন, সেই আন্দোলন করতে হবে ঠাণ্ডা মাথায়। বাস্তবধর্মী পরিকল্পনার ভিত্তিতে’।

মঈন খান বলেন, ‘এখন বাংলাদেশের ভ্যালুজ সিস্টেম হয়েছে বিত্ত, বৈভব, সম্পদ। এখানে মানবাধিকার নেই, গণতন্ত্র নেই, আইনের শাসন নেই। এখানে দৈনন্দিন কার্যক্রম হচ্ছে খুন, রাহাজানি। এখানে দৈনন্দিন কর্মকাণ্ড হচ্ছে নারী—এমনকি অপ্রাপ্ত বয়স্ক নারীদের সম্ভ্রম হানী। এই বাংলাদেশের জন্য কি তারা (মুক্তিযোদ্ধারা) জীবন দিয়েছিল? এ প্রশ্নের উত্তর আজ আওয়ামী লীগকে দিতে হবে।’

তিনি বলেন, ‘মানুষকে তার অধিকার থেকে বঞ্চিত করে কেউ চিরদিন ক্ষমতায় থাকতে পারে না, পারবে না। পৃথিবীর ইতহাস সাক্ষ্য দেয়, কেউ টিকে থাকতে পারেনি। গণতন্ত্রের জন্য সাধারণ মানুষ জীবন দিয়েছিল যে কারণে, সেটা হলো পাকিস্তানি অবকাঠামোর মধ্যে কোনো গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র থাকতে পারে না। সেই কারণে স্বাধীনতা যুদ্ধ হয়েছিল।’

আজকের শোষক-শাসক সমাজ বাংলাদেশে যে পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছে, সেখানে কারো জীবন নিরাপদ নয়। কারো জীবনে কোনো স্বাধীনতা নেই, কথা বলার স্বাধীনতা নেই। কেউ সরকারের বিরুদ্ধে কথা বললে হুমকি দেয়, মামলা-হামলার কথা নাই বা বললাম।

নাগরিক অধিকার আন্দোলন ফোরাম-এর উপদেষ্টা সাঈদ আহমেদ আসলামের সভাপতিত্বে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন নাগরিক ঐক্য’র আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না, বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য আবু নাসের মোহম্মদ রহমাতুল্লাহ, নাগরিক অধিকার আন্দোলন ফোরামের সাধারণ সম্পাদক এম জাহাঙ্গীর আলম প্রমুখ।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়