তপু সরকার হারুন: শেরপুরের ব্রহ্মপুত্র নদী এখন ঘুমন্ত খাল । সময়ের পরিবর্তনে নদীটি এখন হারিয়ে যেতে বসেছে । সেই সঙ্গে চলছে দু জেলার ভূমি দূস্যে এবং মাদক ব্যাবসায়ীদের নিরাপদ অভয়ারণ্য। শেরপুর ও জামালপুর জেলার মাঝা মাঝিতে ব্রহ্মপুত্র নদিটি। নদীর দু পাশে অনেক আগেই দখল হয়ে এখন মাঝ খানে চলছে দখলের পায়তারা। নদীর বুক চিরে এখন ফসলের মাঠ, আর সেই সঙ্গে চলছে মাদক সেবীদের মাদকের বাজার।
এক সময়ের রঙ্গের বাহারী পাল তুলে বয়ে চলতো নানা ধরণের নৌকা। এখন নদীর চিত্র দেখে মনে হয় একটি খাল। সেটি আর ঐতিহ্যবাহী ব্রহ্মপুত্র বলে মনে পড়ে না। এমনি কথা বললেন ছনকান্দার আব্দুস সাওার।
এ নদীটি মূলত (হিমালয় পর্বতের কৈলাস মানস সমবোর পাহাড় ) থেকে কুড়িগ্রামে হয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করে এবং উলিপুর, চিলমারী বন্ধর হয়ে থানা হাট, রৌমারী দিয়ে চর রাজিবপুর, বাহাদুরাবাদ ঘাট, ফুলছড়ি উপজেলা দিয়ে সাঘাটা ,কাচঁকোলা, হয়ে ফকিরের হাট।
এদিকে পুরাতন ব্রহ্মপুত্রের পাড়ে অবস্থিত হয়ে ইসলামপুর, জামালপুর, শেরপুর, ময়মনসিংহ আওয়ালী কান্ধা বেলাব হয়ে কিশোরগঞ্জ ও নরসংদী এবং ভৈরব বাজারের দক্ষিনে মেঘনায় প্রভাহিত হয়। এ নদীটির দৈর্ঘ্য ২৮৩ কিলোমিটার এবং এর গড় প্রস্ত ২০০ মি:, স্থানীয় লোকজন বলে নদিটি ক্রমেই সংকুচিত হয়ে যাচ্ছে এবং দুই পাড়ে মাটি ভরাট করে দখল দারিত্ব নিয়ে ঘরবাড়ি বানিয়ে বসবাস করছে।
গত শুক্রবার সরজমিনে গিয়ে দেখা যায় ব্রহ্মপুত্র ব্রীজের পশ্চিম ও পুর্ব দু পাশ থেকেই বেকু দিয়ে ট্রাকে ট্রাকে বালু তুলে নিচ্ছে। এদিকে সরকার ঘোষিত অর্থনৈতিক অঞ্চল হিসেবে নদীর পারে সাত পাইকা গ্রামের ১৪০ একর ও ৫০ একর একোয়ার ভূক্তে জায়গা সরকারি দখলভূক্ত থাকলেও, সেখানে চলছে অবৈধ্য বালু উওোলনের মহাউৎসব ।
মফিজুল ইসলাম, আনোয়ার হোসেন মাজহারুল, আব্দুল জব্বার নামে স্থানীয় আরো অনেকে বলেন ভূমি অফিসের একটি সিন্ডিকেটের সহযোগিতায় স্থানীয় কিছু টাউট সেখান থেকে লক্ষ্য লক্ষ্য সেপ্টি বালু বেকু মেশিন দিয়ে তুলছে বলে অভিযোগ পাওয়া যায়। স্থানীয় লোকজন আরো বলেন কিছু প্রভাবশালী রাজনৈতিক ব্যাক্তি ও তাদের লোকজন এসব নিয়ন্ত্রণ করে থাকে।
এদিকে চরপক্ষিমারী ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা শহিদুল ইসলামের কথা হলে, তিনি এবিষয়টি এড়িয়ে যান ।
আপনার মতামত লিখুন :