তন্ময় আলমগীর : সাংবাদিক সৈয়দ ইশতিয়াক রেজা বলেছেন, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশ নির্বাচন প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ হবে না। এর একটি বাস্তবসম্মত কারণ হলো, এখানে বড় একটি রাজনৈতিক দল বিএনপি অংশগ্রহণ করছে না। সেদিক থেকে আমি মনে করি আতিকুল ইসলাম সুবিধাজনক অবস্থানে আছেন। যদিও লাঙ্গল প্রার্থী কিছুটা সরব হওয়ার চেষ্টা করছেন। উপজেলা নির্বাচনেও কিন্তু একই অবস্থা। সে হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা যা হবে তা আওয়ামী লীগের ভিতরে হবে। তাও চেয়ামম্যান পদে যেহেতু প্রতীক নির্ধারিত করে দেওয়া হয়েছে অর্থাৎ শাসক দল বলে দিচ্ছে এই আমার প্রার্থী। ফলে প্রান্তিক পর্যায়ের নেতাকর্মীরা খুব একটা সেই প্রতীকের বিরুদ্ধে যাবে বলে মনে হয় না। যেটুকু প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে তা হয়তো কাউন্সিলরদের মধ্যে বা ভাইস চেয়ারম্যানদের মধ্যে হলেও হতে পারে। মঙ্গলবার ডিবিসি নিউজের সংবাদ সম্প্রসারণ অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, মেয়র আনিসুল হকের কিছু স্বপ্নের বাস্তবায়ন দেখেছি। যেমন গুলশান, বনানীর রাস্তাগুলো অনেক সম্প্রসারিত হয়েছে। অনেক বিলবোর্ড তিনি তুলে ফেলেছেন। সামরিক বাহিনীর বিলবোর্ডও ছিল, সেগুলোও তিনি তুলতে পেরেছিলেন। পুরো শহর নিয়ে তিনি স্থপতি ও পরিকল্পনাবিদদের সঙ্গে বসে একটা নকশা করেছিলেন। অনেকে বলছেন নতুন মেয়র যিনি হবেন তার পরিকল্পনার জায়গাটা সমাপ্ত করে গেছেন আনিসুল হক। এখন এখানে আন্তরিকতার ব্যাপার আছে। কাঠামোগত সমস্যাও রয়ে গেছে। মেয়র এখানে কিছুই করতে পারবেন না যদি কাউন্সিলররা তাকে সহযোগীতা না করেন।
সৈয়দ ইশতিয়াক রেজা বলেন, মেয়র শহরের মানুষের প্রতিনিধি। কিন্তু তাকে কেন্দ্রীয় নানা সংস্থার ওপর নির্ভর করতে হয়। যেমন বিদ্যুৎ, পাওয়ার ডিপার্টমেন্ট, ওয়াসা কিংবা স্থানীয় সরকারের আরো যেসব প্রতিষ্ঠান রয়েছে, সেবা সংস্থা, আইনশৃঙ্খলার জন্য পুলিশ ইত্যাদি। সুতরাং সেখানে একটা বড় ধরণের কো-অর্ডিনেশনের প্রয়োজন। ম্যাজিকেল পার্সোনালিটি দিয়ে আনিসুল হক এটা আদায় করতে সক্ষম হয়েছিলেন। কিন্তু আতিকুল ইসলামের জন্য এটি একটি চ্যালেঞ্জ। বড় প্রত্যাশা হতাশার জন্ম দেয়। আনিসুল হকের প্রত্যাশায় বিরাজ করছেন আতিকুল ইসলাম। সে হিসেবে বরং তার নিজস্ব পরিকল্পনাটি মানুষের সামনে তুলে ধরলে ভালো ছিল বলে আমি মনে করি। তারও একটা স্বপ্নের জায়গা আছে নিশ্চয়।
আপনার মতামত লিখুন :