অজয় দাশগুপ্ত : কালীর অপরাধ তিনি হিন্দুদের দেবী। স্বদেশি আন্দোলনেও কালী ছিলেন। এমনকি নকশাল আন্দোলন যা কিনা সাম্যবাদ আর চীনের চেয়ারম্যান আমাদের চেয়ারম্যান বলে রাজপথ কাঁপাতো তাদের নেতা চারু মজুমদারও নাকি গোপনে রক্ত দিয়ে কালী পূজা করতেন। এ গল্প আমাদের বলেছিলেন সাহিত্যিক গৌর কিশোর ঘোষ। তখন আমি যৌবনে। নানাভাবে তাকে রাগিয়ে দিয়েছিলাম। তখন বলতে শুরু করেছিলেন এসব গল্প।
কালীর কথা বলছি এ কারণে নজরুলের মতো বিদ্রোহী রুদ্রতার প্রতীক কবিও শ্যামা সংগীত লিখেছেন। অজস্র অসাধারণ সব কালীর গান আছে তার। ছেলেবেলা থেকে চট্টেশ্বরী কালীবাড়িতে যেতাম। কতো কারণে অকারণে গেছি। শুধু যে ভক্তি বা তেমন কিছু এমনও নয়। মুক্তিযুদ্ধের সময় এই কালীবাড়ির উল্টো দিকে থাকা পাঞ্জাবি বিল্ডিংয়ের লোকেরা মূলত বিহারি অবাঙালিরা লোভ-লালসায় হামলা করেছিলো। কালীবাড়ির পুরোহিতও জীবন দিয়েছিলেন। দেশ স্বাধীনের এতো বছর পর কথিত চেতনা আর মুক্তিযুদ্ধের ধারক আওয়ামী এমপি এই সড়কটির নাম বদলে দিতে চাইছেন। চট্টেশ্বরী কালীর নামে রাখা সড়কটির নাম পরিবর্তন করার কী কারণ থাকতে পারে সবাই বোঝেন।
এর পেছনে যে অন্ধ সাম্প্রদায়িক মনোভাব আর হিংসাকে রোখা জরুরি। এভাবে তারা সবকিছু বদলে দিবে। এখন আমরা দু’ভাগে বিভক্ত জাতি। আমি বলি আক্ষেপ আর ভ্রক্ষেপ। আমরা আক্ষেপের দলে। এমন ছিলো না এমন কেন হয় এমন হবার কথা নয় এসব বলে আহাজারি করি। ভ্রক্ষেপ দলের লোকেরা সবকিছু জায়েজ করে ভ্রক্ষেপহীনভাবে দেশ ও জাতিকে পেছনে নিচ্ছে। কেউ কী তাদের ঠেকাবে? ফেসবুক থেকে
আপনার মতামত লিখুন :