ফাহিম বিজয় : আমাদের এমন কিছু অভ্যাস আছে যেগুলো স্বাস্থ্যের জন্য বেশ ক্ষতিকর। অথচ না জেনে কিংবা মনের অজান্তেই এগুলো করে ফেলি। সুস্থ থাকতে অবশ্যই এসব অভ্যাস এড়িয়ে চলতে হবে। আরটিভি।
সকালের নাস্তা : সকালে অনেকেই নাস্তা করেন না। ঘুম থেকে উঠেই দুপুরের খাবার খান কিংবা ব্যস্ততার কারণে একেবারে দুপুরের খাবার খেতে হয়। কিন্তু এ ধরনের অভ্যাস পরিত্যাগ করতে হবে। সুস্থ থাকতে প্রতিদিন নিয়ম করে সকালের নাস্তাটা সেরে নিতে হবে।
তাড়াহুড়া করে খাবার খাওয়া : খাবারের পর্বটি দ্রুত শেষ করতে চাওয়ার অভ্যাস আজকাল প্রায় সবার মধ্যেই দেখা যায়। এভাবে খাবার খাওয়ার পদ্ধতি ত্যাগ করতে হবে। তাড়াহুড়া করে খাবার খেলে শ্বাসনালীতে সমস্যা দেখা দিতে পারে। এমনকি খাবার আটকে ঘটতে পারে দুর্ঘটনাও।
রাতে দাঁত না মাজা : অনেকেই আলসেমির কারণে রাতে বিছানায় যাওয়ার আগে দাঁত মাজার মতো দরকারি কাজটাকে অবহেলা করেন। অবহেলাজনিত এই বদভ্যাসের দায় আপনাকে শোধ করতে হয় দাঁতে প্লাক সৃষ্টি, দাঁত ও মুখের নানাবিধ অসুখসহ পেটের পীড়া এবং গলার নানা অসুখ বাধানোর মাধ্যমে।
মূত্রত্যাগে বিলম্ব করা : চাপ অনুভূত হওয়ার পরও মূত্রত্যাগে অহেতুক বিলম্ব করবেন না। প্রস্রাবের বেগ দীর্ঘ সময় ধরে চেপে রাখলে আপনার মূত্রথলির জন্য তা মারাত্মক ক্ষতির কারণ হয়ে দেখা দেবে।
কোনো কিছু একই কাঁধে বহন করা : আপনার সাইড ব্যাগ, হ্যান্ডব্যাগ বা ল্যাপটপবাহী ব্যাগটি প্রতিদিন একই দিকের কাঁধে বহন করা থেকে বিরত থাকুন। এর ফলে কাঁধ, পিঠ বা হাত ব্যথার শিকার হতে পারেন আপনি। তাই হাঁটাচলার ক্ষেত্রে কাঁধ বা হাতে ঝোলানো ব্যাগটি ডান-বাম ও সামনে-পেছনে স্থান পরিবর্তন করে নিন নির্দিষ্ট সময় পরপর। এর ফলে অহেতুক কাঁধ-হাত-পিঠ ব্যথার কষ্ট থেকে রেহাই মিলবে।
একটানা বসে থাকা : অফিসে কিংবা বাসায় একটানা দীর্ঘক্ষণ বসে কাজ করবেন না। বড় আকারের কাজ হলে একটু পরপর উঠে হাঁটাহাঁটি করে নিন। সম্পাদনা : সালেহ বিপ্লব
আপনার মতামত লিখুন :