মতিনুজ্জামান মিটু : গতকাল রাজধানীর আগারগাঁও এর পরিবেশ অধিদপ্তরের চামেলী সম্মেলন কক্ষে ‘ এ্যাসেসেমেন্ট অফ জেনারেশন অফ ই-ওয়াস্টস, ইঁটস ইমপ্যাক্টস অন ইনভরনমেন্ট এ্যান্ড রিসোর্সেস রিকভারি পোটেনশিয়াল ইন বাংলাদেশ’ শীর্ষক কর্মশালায় বন ও জলবায়ু পরিবর্তন সচিব আবদুল্লাহ আল মোহসীন বললেন, ব্যবহৃত ই-বর্জ্যরে স্টিলের এবং বাকী প্লাস্টিকের। এসব বর্জ্যরে ওপর আরো জরিপ হওয়া দরকার এবং তার সুপারিশে স্পেসিফিক নির্দেশনা থাকতে হবে।
তিনি বলেন, দেশে কি পরিমাণ ই বর্জ্য উৎপাদন হয় তার কোনো ডেটা নেই। এ জন্য ই-বর্জ্যরে ওপর জরিপ দরকার। লাভ না হলে দেশে ই-বর্জ্যরে রিসাইকেলিং ইন্ডাস্ট্রি গড়ে উঠবে না।
কর্মশালায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন অতিরিক্ত সচিব (পরিবেশ) ড. এস এম মনজুরুল হান্নান খান। পরিবেশ অধিপ্তরের মহাপরিচালক ড. সুলতান আহমেদ এর সভাপতিত্বে স্বাগত বক্তব্য দেন পরিচালক (জলবায়ু পরিবর্তন ) মির্জা শওকত আলী। এ্যাসেসেমেন্ট অফ জেনারেশন অফ ই-ওয়াস্টস, ইঁটস ইমপ্যাক্টস অন ইনভরনমেন্ট এ্যান্ড রিসোর্সেস রিকভারি পোটেনশিয়াল ইন বাংলাদেশ’ বিষয়ক স্ট্রাডি’র ফাইনাল রিপোর্ট উপস্থাপন করেন বুয়েটের এমএমই বিভাগের প্রফেসর ড. ফাহমিদা গুলশান ও সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের পরিচালক প্রফেসর রওশান মমতাজ।
পরিবেশ অধিদপ্তরের ই-বর্জ্য সংক্রান্ত স্ট্যাডিটি করে বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অফ ইঞ্জিনিয়ারিং এ্যান্ড টেকনোলোজি (বুয়েটের) শিক্ষকরা। ২০১৭-২০১৮ অর্থবছরে শুরু হয় স্ট্যাডির কাজ। এদিনের কর্মাশালায় ওই স্টাডি’র ফাইনাল রিপোর্ট সচিবের সামনে উপস্থাপন করা হয়। বাকীসব কাজ শেষে আগামী ২ থেকে ৩ মাসের মধ্যে এ স্ট্যাডির রিপোর্ট আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশ করা হবে।
এই স্ট্যাডির মাধ্যমে জানা যাবে দেশের ই- বর্জ্যরে পরিমাণ, ই-বর্জ্য বৃদ্ধির হার ও ই-বর্জ্যরে প্রভাবে কি কি হচ্ছে।
আপনার মতামত লিখুন :