নূর মাজিদ : পরমাণু যুদ্ধ হলে যুক্তরাষ্ট্রের যে সকল স্থাপনায় হামলা করা হবে তার একটি প্রকাশ করেছে রাশিয়ার রাষ্ট্রনিয়ন্ত্রিত একটি টিভি চ্যানেল। ওই তালিকায় যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা সদর দপ্তর পেন্টাগন এবং প্রেসিডেন্টের রাষ্ট্রীয় অবকাশ কেন্দ্র ক্যা¤প ডেভিডও স্থান করে নিয়েছে। সম্প্রচার গণমাধ্যমটি এসময় রাশিয়ার তৈরি নতুন হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্রের কথা জানায়, যা ওই লক্ষ্যবস্তুগুলোকে পাঁচ মিনিটের মধ্যে আঘাত করতে পারবে। রয়টার্স, ইউরো নিউজ
পশ্চিমা গণমাধ্যম জানায়, রাশিয়ার রাষ্ট্রনিয়ন্ত্রিত চ্যানেলগুলোতে প্রচারিত গতানুগতিক প্রপাগান্ডার প্রকৃতিও সাম্প্রতিক এই তালিকা প্রকাশের আগ্রাসী ধরনের কাছে তুচ্ছ হয়ে পড়ে। বিশেষ করে, এমন সময় এই তালিকা প্রকাশ করা হলো যখন গত রোববার যুক্তরাষ্ট্র এবং রাশিয়ার মাঝে নতুন কিউবা ক্ষেপণাস্ত্র সঙ্কটের মতো পরিস্থিতির সূচনা হচ্ছে বলে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন।
এসময় পুতিন বলেন, দুই দেশের মাঝে অব্যাহত সামরিক অবস্থানের প্রেক্ষিতে যুক্তরাষ্ট্র ইউরোপে রাশিয়ার সীমান্ত সংলগ্ন রাষ্ট্রগুলোতে মধ্যম পাল্লার পরমাণু ক্ষেপণাস্ত্র মোতায়েন করতে পারে। এর পাল্টা পদক্ষেপ হিসেবে রাশিয়াকেও তার নিজ সীমান্তে হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র মোতায়েন করতে হবে। এছাড়াও, যুক্তরাষ্ট্রের জলসীমায় রুশ পরমাণু ক্ষেপণাস্ত্রবাহী সাবমেরিনগুলোকে মোতায়েন করা হবে।
তবে পুতিনের ভাষণের প্রতিক্রিয়ায় যুক্তরাষ্ট্র বলেছে, ইউরোপে এই ধরনের ক্ষেপণাস্ত্র মোতায়েনের কোন পরিকল্পনা নেই তাদের। এসময় পুতিনের দাবীকে মিথ্যে প্রচারণা বলে দাবি করেছে যুক্তরাষ্ট্র।
আপনার মতামত লিখুন :