সুমন পাইক : দুর্ঘটনা কবলিত কিংবা যুদ্ধাহতদের চিকিৎসায় বিশ্বের ৮৪ তম দেশে হিসেবে বাংলাদেশের চিকিৎসকরা ‘অ্যাডভান্সড ট্রমা লাইফ সাপোর্ট ’ (এটিএলএস) কোর্স সম্পন্ন করতে যাচ্ছে। ১৬জন সিনিয়র ফেলো ডাক্তার ১মার্চ থেকে মহাখালীর বাংলাদেশ কলেজ অব ফিজিসিয়িানস্ এন্ড সার্জনস (বিসিপিএস) এর স্কীল ডেভেলপমেন্ট ল্যাবে প্রশিক্ষন নেবেন।
ট্রমা ব্যবস্থাপনা তিন স্তরে সম্পন্ন হয়। এর শুরুটা হয় দুর্ঘটনাস্থল থেকে। হাসপাতালের চিকিৎসা সেবা জরুরী বিভাগ থেকে শুরু হয়। কিন্তু দূর্ঘটনাস্থল থেকে রোগীকে জরুরী বিভাগে নিয়ে আসার সময়টি সব চাইতে বেশি গুরুত্বপূর্ণ। উক্ত সময়ে রোগীদেরকে জরুরী ভিত্তিতে চিকিৎসা সেবা দেয়াটা অত্যাবশ্যক। আমাদের দেশের ট্রমা চিকিৎসা ব্যবস্থাপনার ব্যাপারে অনেকটাই ঘাটতি রয়েছে। এই ঘাটতি মেটানোর জন্য ডাক্তারদের এটিএলএস কোর্স করানো হচ্ছে। একজন গুরুতরভাবে আহত ব্যক্তিকে সময়মত বিশেষজ্ঞ ট্রমা চিকিৎসা প্রদানের লক্ষ্যে এটিএলএস কোর্সটির মাধ্যমে ডাক্তারদের হাতে কলমে প্রশিক্ষিত করে থাকে। কোর্সটি আহত ব্যক্তিদের সময়মত ও যথাযথ চিকিৎসার মাধ্যমে ক্ষতির পরিমাণ কমানো এবং ডাক্তারদের সাংগঠনিক পদ্ধতিগত দক্ষতা বিকাশে সহায়তা করবে। এটিএলএস বিশ্বাস করে যে বিশ্বের সকল ডাক্তার একটি অভীন্ন পদ্ধতিতে ট্রমা রোগীদের চিকিৎসা করবেন এবং ট্রমা ব্যবস্থাপনায়নের বিশ্বমানের মানগুলির সাথে সমানভাবে কাজ করবেন।
‘আমেরিকান কলেজ অব সার্জনস’ এই কোর্সটির আবিষ্কারক। বাংলাদেশ কলেজ অব ফিজিশিয়ানস্ এন্ড সার্জনস্ ও দ্য সোসাইটি অব সার্জনস্ অব বাংলাদেশ এবং আমেরিকান কলেজ অব সার্জনস্ মধ্যকার চুক্তির অধীনে বাংলাদেশে কোর্সটি চালু হয়েছে। বেশিরভাগ উন্নত দেশের ডাক্তারদের বাধ্যতামূলক ভাবে কোর্সটি করানো হয়।
আপনার মতামত লিখুন :