রুহুল আমিন : নানা সমস্যায় জর্জরিত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। রয়েছে আবাসনের তীব্র সংকট, মানহীন খাবার, গণপরিবহনের স্বল্পতা এবং ক্যাম্পাসে নিয়ন্ত্রণহীন রিকশা ভাড়াসহ নানা সমস্যার অভিযোগ। শিক্ষার্থীদের প্রত্যাশা, ২৪ ঘণ্টা লাইব্রেরী খোলা রাখার ব্যবস্থাসহ তাদের সকল সমস্যার সমাধানে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সঙ্গে বোঝাপড়া এবং কার্যকর ভূমিকা পালন করবেন ডাকসু এবং হল সংসদে নির্বাচিত ছাত্র প্রতিনিধিরা। সময় টিভি
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বর্ষের অনেক শিক্ষার্থী বারান্দায় ফুটপাথ বা রেললাইনবাসীর মত মানবেতর জীবন পার করছেন। যেখানে মৌসুমভেদে রোদ, বৃষ্টি আর কুয়াশার সাথে তাদের রোজকার বসবাস। শিক্ষার্থীরা জানান, প্রথম দ্বিতীয় বা তৃতীয় বর্ষেও অনেকেই এখনো হলের বারান্দায় থাকতে বাধ্য হন। খাবারের মান নিয়ে শিক্ষার্থীদের আক্ষেপ বহুদিনের। রিডিং রুমে নেই পর্যাপ্ত জায়গা। রয়েছে সংস্কারহীন ছাদের নীচে পড়ে থাকার হতাহতের আতঙ্ক। ডাকসুতে যারা প্রতিনিধি নির্বাচিত হতে যাচ্ছেন, শিক্ষার্থীরা এখন চেয়ে আছেন তাদের দিকে।
শিক্ষার্থীরা বলেন, যে রকম সংস্কারহীন ভবনগুলোতে আমরা থাকি তাতে যেকোনো সময় ভয়াবহ দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। গোটা বিশ্ববিদ্যালয়ে বড় পাঠাগার বলতে শুধু কেন্দ্রীয় লাইব্রেরী। অনেক হলে লাইব্রেরী থাকলেও সেগুলো সমৃদ্ধ না। রয়েছে শিক্ষার্থী হিসেবে পূর্ণ মর্যাদা না পাওয়ার অভিযোগ। শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন কার্যালয়ে কোন কাজে গেলে কর্মচারীরা এমন বাজে ব্যবহার করেন যে লজ্জার শিকার হতে হয়। শিক্ষার্থীদের এসব অভাব-অভিযোগ গুরুত্বের সাথে নেয়ার কথা জানালেন ছাত্র নেতারা।
ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভন বলেন, পড়াশোনার সুযোগ সুবিধা বৃদ্ধি করা হবে আমাদের প্রধান লক্ষ্য। ছাত্রদলের সভাপতি আল মেহেদী তালুকদার বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের যেন কোন রকম অসুবিধার শিকার হতে না হয় সেটাই আগে দেখবো। ছাত্র ফেডারেশনের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি উম্মে হাবিবা বেনজির বলেন, শিক্ষার্থীরা যেন পূর্ণাঙ্গ পড়াশোনার পরিবেশ পান এবং কোন রকম হয়রানি, বিশেষভাবে যৌন হয়রানির শিকার যেন না হন সেদিকে আমরা জোর দেব। তাই ডাকসু এবং হল সংসদের নির্বাচনকে ঘিরে আশায় বুক বাধছেন শিক্ষার্থীরা।