শিরোনাম
◈ ইফতার পার্টিতে আওয়ামী লীগের চরিত্রহনন করছে বিএনপি: কাদের ◈ বাংলাদেশে কারাবন্দী পোশাক শ্রমিকদের মুক্তির আহ্বান যুক্তরাষ্ট্রের ফ্যাশন লবি’র ◈ দক্ষিণ আফ্রিকায় সেতু থেকে তীর্থ যাত্রীবাহী বাস খাদে, নিহত ৪৫ ◈ ভারত থেকে ১৬৫০ টন পেঁয়াজ আসছে আজ! ◈ ২২ এপ্রিল ঢাকায় আসছেন কাতারের আমির, ১০ চুক্তির সম্ভাবনা ◈ ইর্ন্টান চিকিৎসকদের দাবি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী’র সঙ্গে কথা বলেছি: স্বাস্থ্যমন্ত্রী ◈ উন্নয়ন সহযোগীদের একক প্ল্যাটফর্মে আসা প্রয়োজন: পরিবেশমন্ত্রী ◈ ড. ইউনূসের পুরস্কার নিয়ে ভুলভ্রান্তি হতে পারে: আইনজীবী  ◈ ত্রিশালে বাসের ধাক্কায় বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রসহ অটোরিকশার ৩ যাত্রী নিহত ◈ এসএসসি পরীক্ষায় আমূল পরিবর্তন, বদলে যেতে পারে পরীক্ষার নামও

প্রকাশিত : ২৬ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯, ০৮:৩৪ সকাল
আপডেট : ২৬ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯, ০৮:৩৪ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

জিম্মি থাকার অভিজ্ঞতার চেয়ে ‘বাবার’ লাশের জন্য অপেক্ষার যন্ত্রণা খুবই কষ্টের ছিলো

মঈন মোশাররফ : সোমবার ছিলো শোকাবহ সেই ২৫ ফেব্রুয়ারি, বিডিআর বিদ্রোহ ও হত্যাযজ্ঞের দশ বছর। বাংলাদেশের ইতিহাসের কলঙ্কময় এক অধ্যায়। ২০০৯ সালে তৎকালীন বিডিআর সদস্যদের বিদ্রোহে ৫৭ সেনা কর্মকর্তাসহ ৭৪ জনকে হত্যা করা হয়। পিলখানা হত্যাকাণ্ডের  নিহত লে. কর্নেল লুৎফর রহমান খানের মেয়ে সাবরিহা বুশরা। ঘটনার দিন তিনি পিলখানায় জিম্মি ছিলেন। ঘটনার ১০ বছর পর সে বিবিসি বাংলার সাথে একান্ত সাক্ষাতকারে জিম্মি থাকার অভিজ্ঞতা তুলে ধরেন।

বুশরা বলেন, আমি তখন নবম শ্রেণীর ছাত্রী ছিলাম। আমাদের বাসা ডিজি আঙ্কেলের বাসার পাসেই ছিলো। আমার বাবা বিডিআর হাসপাতালে ছিলেন। দিনটি গুলির শব্দ দিয়ে শুরু হয়। আমি তখন নাস্তা করছিলাম। আমার বাসা চারতালায় ছিলো। হঠাত একটা গুলি জানালা ভেদ করে আমাদের বাসায় ঢুকেছিলো। নিচে তাকিয়ে দেখি আমার বাসার নিচের তিনটি গাড়িতে আগুন জলছে। দুইজন সৈনিক এসে আমাদেরকে টেনে হিচড়ে বের করে নিয়ে যাচ্ছিলো। অন্যান্য কর্মকর্তাদের পরিবারের সবাইকে একজায়গায় নিয়ে আসা হচ্ছিলো।

তিনি আরো বলেন, আমি তখন ছোট ছিলামা। সৈনিকরা আমাকেও মারধর করেছে। আমার মাথায় রাইফেল দিয়ে বাড়ি দিয়েছে এবং পিঠে লাথি দিয়েছে। আমাদের দিকে বন্দুক তাক করে বল ছিলো চোখ বন্ধ কর। কর্মকর্তাদের সন্তান, মিসেস, মা সবাইকে মারধর করেছে। তাদের গায়ে হাত দিয়েছে এবং হাসাহাসি করেছে।

তিনি জানান, আমাদের কোনো সন্দেহ ছিলো না ওরা আমাদেরকে মেরে ফেলবে। আমরা শুধু অপেক্ষা করছিলাম কখন মারবে। নিজেদের জিম্মি থাকার অভিজ্ঞতাটা যতটানা কষ্টকর ছিলো তার থেকে বেশি কষ্টের ছিলো আমার বাবার জন্য অপেক্ষা করা এবং তার লাশের জন্য। ঘটনার পর আমি তিনবার আইসিউতে ছিলাম। এবং যেদিন আমার বাবার জানাজা হয় আমাকে সেদিন ঘুমের ওষুধ দেয়া হয়েছিলো। আমি কাঁদতেও পারতাম না। আমার বাবা সাইক্রিয়াটিস্ট ছিলেন, অথচ আমাকে অনেক সাইক্রিয়াটিস্ট দেখাতে হয়েছে। ঘটনার পর আমি অনেক ইমোশনাল হয়ে পড়েছিলাম। ঐ সময় আমাকে দেখে সবাই ভাবতো, আমি আর পড়াশুনা চালিয়ে জেতে পারবো না। এটা থেকে রিকোভার আমি কখনো করতে পারবো না।

বিদ্রোহ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমরা যারা জিম্মি অবস্থায় ছিলাম, আমরা কোনো বিদ্রোহ দেখি নাই। কোনো অন্যায়ের বিরুদ্ধে সোচ্চার হওয়া দেখি নাই। মানুষ মারার পর আমরা মানুষের লাশ দেখেছি। মানুষকে নির্যাতন করতে দেখেছি। আমরা কেউই এটাকে বিদ্রোহ বলতে চাই না। অন্যায়ে বিরুদ্ধে দাঁড়ানোকে বিদ্রোহ বলে, এটা বিদ্রোহ নয়। নিরপরাধ মানুষকে নির্যাতনকে বিদ্রোহবলে না।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়