শাকিল আহমেদ: আগামী এক মাসের মধ্যে পুরান ঢাকার আবাসিক এলাকা হতে ক্যামিকেল গোডাউন অপসারণ করার ঘোষণা দিয়েছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র সাঈদ খোকন।
সোমবার ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন নগর ভবণের সেমিনার কক্ষে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা বাস্তবায়নে পুরান ঢাকা আবাসিক এলাকা হতে ক্যামিকেল গোডাউন অপসারনকল্পে বিশেষ জরুরি সভা শেষে তিনি এ ঘোষণা দেন।
আগামী ২৮ ফেব্রুয়ারি থেকে ক্যামিকেল গোডাউন অপসারণের কাজ শুরু হবে জানিয়ে মেয়র বলেন, এ জন্য দুই স্তরের ট্রার্স ফোর্স গঠন করা হবে। ১ম স্তরে থাকবে সেবা সংস্থাগুলোর প্রধান সহ অন্যান্য উচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তারা। তারা এ কার্যক্রম বিষয়ক পরিকল্পনা, নির্দেশনা এবং বাস্তবায়নের কাজ করবেন। আর ট্রার্স ফোর্সের ২য় স্তরের সদস্যরা অন গ্রাউন্ডে থেকে কাজ করবেন।
সংস্থাগুলোর প্রধানদের উদ্দেশ্যে সাঈদ খোকন বলেন, অভিযানের সময়ে যেসব বাসা, ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানে ক্ষতিকর ক্যামিকেল জাতীয় দব্য পাওয়া যাবে আপনারা সঙ্গে সঙ্গে সেসবের বিদ্যুৎ, গ্যাস, পানির সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেবেন। আমরা ১৫ টি ওয়ার্ড ঝূঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করেছি। ২/৩ টি ওয়ার্ডে একসঙ্গে কাজ করবে অভিযান পরিচালনাকারীরা।
আগামী ২৮ ফেব্রুয়ারি থেকে ১ এপ্রিলের মধ্যে আমরা পুরান ঢাকা থেকে সমস্ত ক্যামিকেল বা ক্ষতিকর দ্রব্যের কারখানা অপসারন করবো বলেও জানান তিনি।
সভায় উপস্থিত ছিলেন পুলিশের মহাপরিদর্শক-আইজিপি মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া,ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদফতরের মহাপরিচালক (ডিজি) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আলী আহাম্মেদ খান, রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের ( রাজউক) চেয়ারম্যান প্রকৌশলী আবদুর রহমান, ওয়সার ব্যবস্থাপনা পরিচালক তাসকিন এ খান, স্থানীয় সংসদ সদস্য হাজী সেলিম, তিতাস গ্যাসের এমডি মোস্তফা কামাল, পরিবেশ অধিদপ্তরের পরিচালক সোহরাব আলী, বিস্ফোরক অধিদপ্তরের প্রধান বিস্ফোরক পরিদর্শক শামসুল আলম, ঢাকা জেলা প্রশাসক আবু ছালেহ মোহম্মাদ ফেরদৌস খান, ডিপিসির এমডি বিকাশ দেওয়ান সহ বিভিন্ন সেবা সংস্থার প্রতিনিধি এবং পুরান ঢাকার ক্যামিকেল ব্যাবসায়ী সমিতির নেতারা।
আপনার মতামত লিখুন :