নুর নাহার : সরকারকে ক্ষমতা থেকে হঠানোর চক্রান্ত হিসেবে মুক্তিযুদ্ধ বিরোধি শক্তি বিডিআর হত্যাকাণ্ড চালায় বলে মনে করছেন বিশিষ্টজনেরা। জাতীয় প্রেস ক্লাবে এক আলোচনা সভায় তারা এ বিষয়ে বলেন। তবে বিডিআর হত্যাকাণ্ডের ব্যর্থতার দায় এড়াতে পারেন না গোয়েন্দারা বলেও মন্তব্য করেন তারা। ইনডিপেন্ডট নিউজ।
২৫ ফেব্রুয়ারি, বিডিআর হত্যাকাণ্ডের ১০ বছর সামনে রেখে বাংলাদেশ অনলাইন অ্যাক্টিভিস্ট ফোরাম জাতীয় প্রেস ক্লাবে একটি আলোচনা সভার আয়োজন করেন। এখানে অংশ নেন বিশিষ্ঠ নাগরিকেরা। নৃশংস এ ঘটনায় শহীদদের মাগফিরাত কামনা করে বক্তারা বলেন, যওয়ানদের দাবির আড়ালে পূর্বপরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয় সেনাদের। তবে ষড়যন্ত্রকারীরা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শিতায় তাদের লক্ষ্য পূরণে ব্যর্থ হন।
নিরাপত্তা বিশ্লেষক আবদুর রশিদ বলেন, মুক্তিযুদ্ধে বিরোধিতা করেছে সেখানে ব্যর্থ হয়েছে। সেখানে পরাজয় শুধু রাজনৈতিক শক্তি নয় যেসব দেশ পরাজয় হয়েছে তারাও এর পিছনে ইন্ধন যোগায়। যারা এদেশে রাজনৈতিক উদ্দেশ্য সাধন করতে চায় তারাই এ দেশে রাজনৈতিক সীমানা এনেছে এবং এ ঘটনার সৃষ্টি করেছে।
সংস্কৃতিকর্মী পীযুষ বন্দোপাধ্যায় বলেন, আমাদের অনেকগুলো গোয়েন্দা সংস্থা কাজ করে, আমরা এ ব্যর্থতার দায় ২৫ ফেব্রæয়ারি ২০১৯, এর ঘটনার সাথে উড়িয়ে দিতে পারি না। এটি আমাদের আত্মসম্মানের বিষয়। আমাদের অনেক বেশি সর্তক থাকতে হবে। বিডিআর হত্যাকাণ্ডের সময় বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া এবং তার ছেলে তারেক জিয়ার ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন অনেকেই।
জাতীয় প্রেস ক্লাবের সাবেক সভাপতি শফিকুর রহমান বলেন, বেগম খালেদা জিয়ার কাছে তার ছেলে লন্ডন থেকে কেন সেদিন বারবার ফোন করেছিলেন ? বেগম জিয়া সেদিন পালিয়েছিলেন বাড়ি থেকে শুধু ধরা পড়ার ভয়ে। ইতিহাসের এই জঘন্যতম হত্যাকাণ্ডের বিচার হলেও নানামুখি ষড়যন্ত্রে সর্তক থাকতে আহ্বান জানান বিশিষ্টজনেরা।
আপনার মতামত লিখুন :