মারুফুল আলম : এভিয়েশন বিশেষজ্ঞ কাজী ওয়াহিদুল আলম বলেছেন, শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে নিরাপত্তার দুর্বলতা নিয়ে সমালোচনা নতুন কিছু নয়, তবে আন্তর্জাতিক ফ্লাইটে প্রথমবারের মতো ছিনতাইয়ের চেষ্টায় মানুষ আশ্চর্য হয়েছে এবং বিমানবন্দরের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। এই ঘটনায় বিশ্ব একটি খারাপ বার্তা পেলো।
সোমবার বিবিসি বাংলাকে দেয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ২০১৬ সালে যুক্তরাজ্য নিরাপত্তায় দুর্বলতার অজুহাতে ঢাকা থেকে সরাসরি কার্গো বিমান চলাচল সাময়িকভাবে বন্ধ করেছিলো। এরপর দুই বছর নিরাপত্তা ব্যবস্থায় পরিবর্তন করা হলে ব্রিটিশ কর্তৃপক্ষ সন্তোষ প্রকাশ করে ঢাকা থেকে কার্গো বিমান চলাচলে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়।
ওয়াহিদুল হক বলেন, নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়া মানে এই নয় যে, তারা সারাজীবনের জন্য সন্তুষ্ট থাকবে। আরো আধুনিক ব্যবস্থা নেয়া বা ডিজিটাল ব্যবস্থা আরো উন্নত করা উচিত ছিল। এসব বিষয়েও বহিঃবিশ্বে আবারো নেতিবাচক প্রশ্ন আসতে পারে বলে তিনি মনে করেন।
বিমানবন্দরে এতো সিসি ক্যামেরা, একাধিক স্ক্যানিং মেশিন এবং এতো গোয়েন্দা নজরদারি কিভাবে ব্যর্থ হলো জানতে চাইলে ওয়াহিদুল হক বলেন, নিরাপত্তার ঘাটতি হয়েছে, এটা নিশ্চিত। স্ক্যানিং মেশিনে হোক বা ঘটনার পেছনে কেউ থাকুক, বা অন্য কোনো বিষয় থাকুক, কোনো না কোনোভাবে নিরাপত্তার বড় ধরনের ঘাটতি হয়েছে।
তিনি বলেন, বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান এম নাঈম হাসান সংবাদ সম্মেলনে নিরাপত্তা ইস্যুতেই সাংবাদিকদের একের পর এক প্রশ্নের মুখে পড়েছিলেন। তার বক্তব্য ছিলো একটাই, তা হচ্ছে, ‘আমরা তদন্ত করব। সিসিটিভি আছে, সেটি চেক করব।’
আপনার মতামত লিখুন :