শিরোনাম
◈ দক্ষিণ ভারতে ইন্ডিয়া জোটের কাছে গো-হারা হারবে বিজেপি: রেভান্ত রেড্ডি ◈ ইরানের ওপর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের নতুন নিষেধাজ্ঞা ◈ আবারও বাড়লো স্বর্ণের দাম  ◈ ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিনয় মোহন কোয়াত্রার ঢাকা সফর স্থগিত ◈ বিএনপি নেতাকর্মীদের জামিন না দেওয়াকে কর্মসূচিতে পরিণত করেছে সরকার: মির্জা ফখরুল ◈ ব্রিটিশ হাইকমিশনারের সঙ্গে বিএনপি নেতাদের বৈঠক ◈ মিয়ানমার সেনার ওপর নিষেধাজ্ঞা থাকায় তাদের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ করা সম্ভব হচ্ছে না: সেনা প্রধান ◈ উপজেলা নির্বাচন: মন্ত্রী-এমপিদের আত্মীয়দের সরে দাঁড়ানোর নির্দেশ আওয়ামী লীগের ◈ বোতলজাত সয়াবিনের দাম লিটারে ৪ টাকা বাড়লো ◈ রেকর্ড বন্যায় প্লাবিত দুবাই, ওমানে ১৮ জনের প্রাণহানি

প্রকাশিত : ২৫ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯, ০১:৫৫ রাত
আপডেট : ২৫ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯, ০১:৫৫ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

বিগত ১০ বছরে কৃষিতে ভর্তুকি  ৬৩ হাজার ২৬৩ কোটি টাকা : সংসদে প্রশ্নোত্তরে কৃষি মন্ত্রী

আসাদুজ্জামান সম্রাট : কৃষিমন্ত্রী ড. আবদুর রাজ্জাক জানিয়েছেন, বিগত ১০ বছরে বর্তমান সরকার ৬৩ হাজার ২৬৩ কোটি ৪৩ লাখ টাকা কৃষি ভর্তুকি প্রদান করা হয়েছে। অওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন সরকার সরকার ২০০৯ সালে ক্ষমতা গ্রহণের পর পরই সারের মূল্য কমিয়ে ভর্তুকির পরিমাণ বৃদ্ধি করা হয়েছে।

রোববার সংসদ অধিবেশনে প্রশ্নোত্তর পর্বে তিনি এতথ্য জানান। স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে অধিবেশনে এসংক্রান্ত প্রশ্নটি উত্থাপন করেন সরকারি দলের সংসদ সদস্য এম আবদুল লতিফ। জবাবে মন্ত্রী আরো জানান, ২০০৯-১০ অর্থবছর হতে ২০১৯ সালের ১৩ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত কৃষিতে ভর্তুকি দেয়া হয়েছে। এরমধ্যে শুধুমাত্র সারেই ৬১ হাজার ১২৩ কোটি ৯৩ লাখ, বিদ্যুতে এক হাজার ১৫৯ কোটি ৭৯ লাখ, ইক্ষুতে ১৪২ কোটি ৮৮ লাখ, ডিজেলে ভর্তুকি ৭৫০ কোটি টাকা। তিনি আরো জানান, ২০০৮-০৯ অর্থবছরে খাদ্যশস্য উৎপাদন ছিল ৩ কোটি ৩৩ লাখ ৩ হাজার মেট্রিক টন। বর্তমানে ২০১৭-১৮ অর্থ বছরে উৎপাদন বেড়ে ৪ কোটি ১৩ লাখ ২৫ হাজার মেট্রিক টন হয়েছে। সঠিক সময়ে সুলভ মূল্যে সার পাওয়ায় উৎপাদনের পরিমাণ বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং দেশ খাদ্যশস্য উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করেছে।

বিরোধী দল জাতীয় পার্টির দলীয় সংসদ সদস্য ডা. রুস্তম আলী আলী ফরাজীর প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী ড. আবদুর রাজ্জাক জানান, ২০১৭-১৮ অর্থ বছরে রোপা আমন ধানের উৎপাদন খরচ ছিল প্রতি কেজি ২৪ টাকা ৬৩ পয়সা, ধানের সংগ্রহ মূল্য ছিল ২৬ টাকা এবং বোরো ধানের উৎপাদন খরচ ছিল প্রতি কেজি ২৪ টাকা, ধানের সংগ্রহ মূল্য ছিল ২৬ টাকা। এছাড়া ২০১৮-১৯ বছরে পরাপা আমন ধানের উৎপাদন খরচ প্রতি কেজি ২৫ টাকা ৩০ পয়সা, ধানের সংগ্রহ মূল্য ২৬ টাকা। ধানের সংগ্রহ মূল্য উৎপাদন খরচের তুলনায় বেশি হওয়ায় কৃষক লাভবান হবে।

সরকারী দলের সংসদ সদস্য মোজাফফর হোসেনের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী জানান, বিএডিসির ৪৭৩টি সার গুদাম রয়েছে। এরমধ্যে অব্যবহৃত গুদামের সংখ্যা সর্বমোট ৫৩টি। সার গুদামসমূহের বিদ্যমান ধারণক্ষমতা প্রয়োজনের তুলনায় অপ্রতুল হওয়ায় অব্যবহৃত গুদামসমূহ পর্যায়ক্রমে মেরামত করে ব্যবহার উপযোগি করে সার সংরক্ষণের পরিকল্পনা রয়েছে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়