রাশিদ রিয়াজ : সৌদি আরব তার অস্ত্র চাহিদার মাত্র ২ শতাংশ নিজেরাই তৈরি করে। ২০৩০ সালের মধ্যে অন্তত ৫০ শতাংশ অস্ত্র সৌদি আরব নিজেই তৈরি করবে। এজন্যে প্রত্যক্ষ কর্মসংস্থান হবে ৪০ হাজার এবং আরো ১ লাখ মানুষ এধরনের বিনিয়োগে উপকৃত হবে। বিশে^র ২৫টি অস্ত্র উৎপাদক দেশের কাতারে পৌঁছাতে সৌদি আরব এধরনের পরিকল্পনা নিয়েছে বলে জানিয়েছেন সৌদি অস্ত্র তৈরি কোম্পানি সামি’র প্রধান নির্বাহী আন্দ্রেয়াস সোয়া। তিনি বলেন, তেলের ওপর নির্ভরতা ও প্রতিরক্ষা ব্যয় কমিয়ে আনার জন্যেও দেশটিতে অস্ত্র উৎপাদনের পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে। এজন্যে বছরে বরাদ্দ দেয়া হবে ৫ হাজার কোটি ডলার। হারেৎজ
আন্দ্রেয়াস সোয়া বলেন, অস্ত্র তৈরির জন্যে প্রযুক্তি কেনা হবে। ইতিমধ্যে স্পেনের সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে যুদ্ধ জাহাজ তৈরির চুক্তি হয়েছে। তবে অস্ত্র তৈরির জন্যে যে দক্ষ লোকবল প্রয়োজনে সেক্ষেত্রে বিশাল ঘাটতি রয়েছে দেশটির। বিশেষ করে প্রযুক্তির ব্যবহার জানে এমন লোকবলের ঘাটতিও রয়েছে দেশটিতে। এজন্যে বিভিন্ন পশ্চিমা দেশে সৌদি শিক্ষার্থীদের বিশেষ প্রশিক্ষণে পাঠানো হচ্ছে। এক্ষেত্রে কঠোর পরিশ্রমের প্রয়োজন আছে এবং সৌদি শিক্ষার্থীরা মানবিক ও সামাজিক বিজ্ঞানে অধিক আগ্রহী বলে অস্ত্র তৈরিতে প্রযুক্তিগত দক্ষতা অর্জনে বেশ কিছুটা বাধার সৃষ্টি হয়েছে। কারণ সহজ কাজ, ব্যবসা ও সাধারণ জীবন যাপনে সৌদি নাগরিকরা অভ্যস্ত।
এদিকে তুরস্ক ও ইরানের অস্ত্র তৈরিতে স্বয়ংসম্পূর্ণ হওয়ার বিষয়টিও সৌদি আরবকে এ খাতে বিনিয়োগে নজর দিতে বাধ্য করছে। তুরস্ক গত বছর ২’শ কোটি ডলারের অস্ত্র রফতানি করেছে। ইরান সৌদি আরবের প্রবল রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ হয়ে নিজস্ব প্রযুক্তিতে অস্ত্র উৎপাদনে অনেক দূর এগিয়ে গিয়েছে। সৌদি আরব এখন এধরনের দূরত্ব কমিয়ে আনার জন্যে গভীর মনোযোগী হয়েই বিভিন্ন ধরনের প্রকল্প হাতে নিচ্ছে।
আপনার মতামত লিখুন :