শাহীন চৌধুরী: বিদ্যুৎ সচিব ড. আহমদ কায়কাউস বলেছেন, বিদ্যুৎ খাতের দুর্নীতি সম্পর্কে ঢালাওভাবে কিছু বলা ঠিক নয়। তিনি বলেন, এ ব্যাপারে কেউ তথ্য দিতে পারলে অবশ্যই আমরা ব্যবস্থা নেব। তিনি বলেন, আমরা যে টাকা খরচ করে বিদ্যুৎ উৎপাদন করছি সেই টাকা পাচ্ছি না সুতরাং গ্রাহকদের বঞ্চিত করার প্রশ্নই আসেনা।
বিদ্যুৎ সচিব রোববার ডেফোডিল বিশ্ববিদ্যালয়ে এক ওয়ার্কশপে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। বিদ্যুতের বিল বেড়ে যাওয়া প্রসঙ্গে তিনি বলেন, শুধু আমাদের দেশে নয় আমেরিকা, ভারত, পাকিস্তানসহ সব দেশেই বিল বাড়ছে কারন উৎপাদন ব্যয়ের সাথে সমন্বয় রাখতেই হবে।
ওয়ার্কশপে অপর বিশেষ অতিথি বিইআরসি-র চেয়ারম্যান মনোয়ার ইসলাম বলেন, জনগণের চাহিদা এবং তাদের সামর্থের কথা বিবেচনা করে বিইআরসি সরকারকে সব সময়ই পরামর্শ দিয়ে চলেছে। তিনি বলেন, এখন কুইক রেন্টাল এবং রেন্টাল পাওয়ার প্ল্যান্ট বলে কিছু নেই। কারন প্রথমদফা ওইসব কোম্পানির সাথে চুক্তির মেয়াদ শেষ হওয়ার পর এখাতে কস্ট কমিয়ে আমরা ৬ হাজার কোটি টাকা সাশ্রয় করেছি।
বিপিডিবি’র চেয়ারম্যান প্রকৌশলী খালেদ মাহমুদ বলেন, এই মূহুর্তে আমাদের ভর্তুকি বছরে ৮ হাজার কোটি টাকা। তিনি বিদ্যুতের মূল্য সমন্বয় করার জন্য বিইআরসি-কে অনুরোধ করেন। আরইবি’র চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) মাঈন উদ্দিন ওয়েব-বেইজ ইলেটট্রিসিটি প্রস্তাবনাকে ডিজিটাল বাংলাদেশের সহায়ক হিসেবে উল্লেখ করে বলেন, আরইবিতে অবশ্য কোন কস্ট মডেলিং কাজ দেবে না। কারন এখানে অঞ্চল ভেদে খরচ বেশি কম রয়েছে।
আপনার মতামত লিখুন :