মিজান লিটন, চাঁদপুর : চাঁদপুর সদর উপজেলার ১০নং লক্ষ্মীপুর মডেল ইউনিয়নের পূর্ব লক্ষ্মীপুর গ্রামে পুকুর থেকে মসজিদের মাটি কাটতে গিয়ে ২০০ বছরের পুরনো মূল্যবান হিন্দুদের গোপাল মূর্তি উদ্ধার করেছে শ্রমিকরা।
ওই মুর্তিটি কিছুদিন শ্রমিকদের কাছে থাকলেও খবর পেয়ে চেয়ারম্যান মো. সেলিম খান তাদের কাছ থেকে নিয়ে তার কাছে রক্ষিত রাখে। পরে রোববার (২৪ ফেব্রুয়ারী) দুপুরে এই শত বছরের পুরনো মূর্তিটি মডেল থানায় এনে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে।
মূর্তিটি হস্তান্তর করার সময় উপস্থিত ছিলেন, চাঁদপুর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ নাছিম উদ্দিন, তদন্ত ওসি হারুনুর রশিদ, ইন্সপেক্টর মোঃ মনির হোসেন।
মূর্তিটি উদ্ধার করার শ্রমিক শাহাদাত খান জানায়, গত ২৪ জানুয়ারি পুকুরে মাটি কাটতে গিয়ে একটি মুর্তিটি উদ্ধার করি। পুকুরের মালিকের অনুরোধে নিজের কাছেই সংরক্ষিত রাখি। কিন্তু পরবর্তীতে এটি জানাজানি হলে ইউপি চেয়ারম্যান সেলিম খান আমার বাড়ীতে এসে গত ২৭ জানুয়ারি মূর্তিটি নিয়ে যায়।
অবশেষে এক মাস পর চেয়ারম্যান সেলিম খান তার লোকজন পাঠিয়ে এলাকার মানুষের চাপে পড়ে মূর্তিটি পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে। জনমনে নানা প্রশ্ন চেয়ারম্যান সেলিম খাঁন এতদিন কেন মূত্তিটি তার কাছে জব্দ করে রেখেছে। সাথে সাথে কেন পুলিশকে জানাননি এবং হস্তান্তর করেনি এর রহস্য কি।
পুকুরের মালিক আব্দুর রহমান খান বলেন, মূর্তিটি দেখতে অনেকটা নীচে হনুমানের মত। ৪টি পা, বড় বড় কান, কানে ধুল, স্বর্ণের কালার এবং গায়ে খোদাই করা হিন্দি ভাষায় লেখা রয়েছে। এই বাড়ীটি বৃটিশ প্রিয়ডে সত্য সাহাল ঘোষের মালিকানা ছিলো। পরবর্তীতে পিতামহ সিডু খান তাদের কাছ থেকে ক্রয় করেন।
উদ্ধার হওয়ার দিনে ওই পুকুরে ৬জন শ্রমিক কাজ করছিলো। এদের মধ্যে শাহাদাত খানের কোদালের নীচে মূর্তিট কাটা পড়ে।
আপনার মতামত লিখুন :