শিরোনাম
◈ জাতীয় পতাকার নকশাকার শিব নারায়ণ দাস মারা গেছেন ◈ ইরানের ইস্পাহান ও তাব্রিজে ইসরায়েলের ড্রোন হামলা, ৩টি ভূপাতিত (ভিডিও) ◈ ভেটোর তীব্র নিন্দা,মার্কিন নীতি আন্তর্জাতিক আইনের নির্লজ্জ লংঘন : ফিলিস্তিন ◈ স্কুল পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের গল্প-প্রবন্ধ নিয়ে সাময়িকী প্রকাশনা করবে বাংলা একাডেমি ◈ দক্ষিণ ভারতে ইন্ডিয়া জোটের কাছে গো-হারা হারবে বিজেপি: রেভান্ত রেড্ডি ◈ ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিনয় মোহন কোয়াত্রার ঢাকা সফর স্থগিত ◈ চিকিৎসকদের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে সংসদে আইন পাশ করব: স্বাস্থ্যমন্ত্রী ◈ ব্রিটিশ হাইকমিশনারের সঙ্গে বিএনপি নেতাদের বৈঠক ◈ উপজেলা নির্বাচন: মন্ত্রী-এমপিদের আত্মীয়দের সরে দাঁড়ানোর নির্দেশ আওয়ামী লীগের ◈ বোতলজাত সয়াবিনের দাম লিটারে ৪ টাকা বাড়লো

প্রকাশিত : ২৪ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯, ০৭:১৭ সকাল
আপডেট : ২৪ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯, ০৭:১৭ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

রাসায়নিক ব্যবহার ও সংরক্ষণ ব্যবস্থাপনা ঢেলে সাজাতে এবং কেমিক্যাল আইন প্রণয়নের কথা বলছেন বিশেষজ্ঞরা

নুর নাহার: প্রতিদিনের জীবনে অতি তুচ্ছ রাসায়নিক ব্যবহার হলেও তা নিয়ে রয়েছে সচেতনতার অভাব। অধিকাংশ মানুষই ভাবেন না এর ব্যবহার ও সংরক্ষণ নিয়ে। বিশেষজ্ঞরা পরার্মশ দেন, নিমতলী ও চকবাজারের মতো অগ্নিকাণ্ড ঠেকাতে রাসায়নিক ব্যবস্থাপনা ঢেলে সাজাতে হবে এবং কেমিক্যাল আইন প্রণয়ন করতে হবে। চ্যানেল ২৪।

সেভিং ফোম বা নেলপলিস প্রাত্যহিক জীবনে এমন অনেক জিনিস ব্যবহৃত হয় বাস্তবে অগ্নিকাণ্ডের কারণ হতে পারে। আমাদের শোবার বা বসার ঘরেই রাখা থাকে সুগন্ধির বোতল। আর এসব অপ্রয়োজনীয় সুগন্ধির বোতল থেকেই হুমকির মুখে পড়ে যায় আমাদের জীবন। যেখানে পাশেই থাকে এসব পণ্যের কারখানা, সেখানে তো প্রতিনিয়ত জীবন বাজি রাখতে হচ্ছে আমাদের। প্রতিদিনের ব্যবহারের জন্য এ সব পণ্যের কারখানা জনবহুল এলাকা থেকে সরিয়ে নেয়ার দাবি সাধারণ জনগণের।

স্থানীয়রা বলেন, প্রত্যেকটি বাড়িতে ও ফ্যাক্টরিতেও এমন কেমিক্যাল গোডাউন রয়েছে। সরকার বারবার নীতিমালা প্রণয়ন করলেও কার্যকর কোনো ব্যবস্থা নেননি।

তারা আরো বলেন, কেমিক্যাল ফ্যাক্টরিগুলোকে এখান থেকে পাশের নারায়ণগঞ্জ বা সাভারে স্থানান্তর করা যায়। বিষয়গুলো যদি সেভাবে মূল্যায়ন করা হয়, তাহলে হয়তো আর এমন বড় বড় ট্রাজেডি দেখতে হবেনা। এ ধরনের পণ্য ব্যবহারে জনসচেতনতা বাড়াতে হবে বলে মনে করেন, বিশেষজ্ঞরা।

ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স এর সাবেক মহাপরিচালক, আবু নাঈম মোহাম্মদ শহীদুল্লাহ বলেন, এটিকে যদি জনগণ সম্পৃক্ত করা না হয় তাহলে কখনই বড় কোনো দুর্ঘটনা মোকাবেলা সম্ভব নয়। এতে তারা যদি ফায়ার সার্ভিসের সহযোগিতা চায়, যে আমাদের প্রশিক্ষণ দেন। তাহলে অবশ্যই তাদের প্রশিক্ষণ দিতে হবে। এটা ফায়ার সার্ভিসের নীতিমালাতেই রয়েছে। রাসায়নিক ব্যবস্থাপনায় পরিবর্তন আনার পাশাপাশি এর ব্যবহারের শেষপর্যায় পর্যন্ত নিয়ন্ত্রণের নতুন আইন প্রণয়ন করতে হবে বলে গবেষকরা জানান।

বুয়েট, কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের প্রধান সৈয়দা সুলতানা হাসান বলেন, ইন্টিগ্রেডেট কেমিক্যাল ম্যানেজমেন্টের জন্য যা যা অ্যাক্ট রেগুলেশন দরকার সেটা আমাদের করতে হবে। কিছু কিছু অলরেডি একজিস্ট করে, আমাদের সমন্বিত কেমিক্যাল ম্যানেজমেন্টের রেগুলেশন থাকা দরকার। সারা পৃথিবীতে শুরু হয়ে গেছে। কারণ এটা কোনো লোকাল ফেনোমেনা না। শিল্প উন্নয়নের সাথে দেশে বিভিন্ন রাসায়নিক দ্রব্য ব্যবহারের মাত্রা বাড়ছে। তাই রাসায়নিক দ্রব্যের সঠিক নিয়ন্ত্রণে সরকারের যথাযথ পদক্ষেপে পরার্মশ দেন বিশ্লেষকদের।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়