মঞ্জুর মোর্শেদ: শরিয়তপুর জেলার সর্বস্তরের জনগণের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে জেলা সদরে ২৫০ শয্যার নতুন হাসপাতালের নির্মাণ কাজ চলছে। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের উন্নয়ন খাতের অর্থায়নে ৩৭.৩৮ কোটি টাকা ব্যয়ে নতুন ৮তলা হাসপাতাল ভবনটি নির্মিত হচ্ছে। নতুন এ হাসপাতাল থেকে জেলার প্রায় ১২ লাখের বেশি মানুষ আধুনিক স্বাস্থ্যসেবা পাবেন। নতুন এ হাসপাতাল ভবনের নির্মাণ কাজ শুরু হওয়ায় জেলার বিশেষ করে প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলের মানুষের মধ্যে আশার সঞ্চার হয়েছে। লিফটসহ নানা সুযোগসুবিধা সম্বলিত সকল চিকিৎসা থাকবে নতুন এ হাসপাতালে। বর্তমানে ১শ শয্যার হাসপাতালটি। বাসস
ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান ফোরকান আহম্মেদ খান বলেন, কার্যাদেশ পাওয়ার পরই ২০১৮ সালের নভেম্বর থেকে উদ্যমে কাজ চলছে। দু বছর সময়ের মধ্যে ভবন প্রস্তুত করার জন্য শতাধিক শ্রমিক দিনরাত কাজ করে যাচ্ছেন। প্রকৌশলী মো. মেহেদী হাসান লাভলু বলেন, ২০১৮ সালের নভেম্বর মাসে ওয়ার্ক অর্ডার পেয়েই আমরা কাজ শুরু করেছি। ইতিমধ্যে ভরাট, লোড টেস্ট, পাইলিংয়ের কাজ প্রায় সম্পন্ন করেছি। আশা করছি আগামী দু-এক মাসের মধ্যেই ভবন নির্মাণের কাজ শুরু করতে পারবো। প্রাকৃতিক কোন বিপর্যয় না ঘটলে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যেই সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে আমরা ভবন হস্তান্তর করতে পারবো।
এলাকাবাসী বলেন, আমরা প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চল থেকে জেলা সদরে একটু উন্নত চিকিৎসা নিতে আসি। কিন্তু বর্তমানে শরীয়তপুর সদর হাসপাতালটি ১শ শয্যার হওয়ায় আমাদের চাহিদা অনুযায়ী সেবা দিতে পারছে না। নেই প্রয়োজনীয় সংখ্যক চিকিৎসক ও নার্স। তাছাড়া অনেক আধুনিক পরীক্ষানিরীক্ষার ব্যবস্থাও পাওয়া যায় না। ২৫০ শয্যার হাসপাতালটি নির্মিত হলে এখানে আধুনিক পরীক্ষানিরীক্ষার পর্যাপ্ত ব্যবস্থা থাকবে। আমরা এখান থেকে সব ধরনের চিকিৎসা সেবা গ্রহণ করতে পারব। তাছাড়া এখন আমাদের অনেক সময় ঢাকা, ফরিদপুর, বরিশাল সহ জেলার বাইরে যেতে হয়। এ নতুন হাসপাতাল ভবনটি হলে আমরা জেলার বাইরে যাওয়ার ভোগান্তি থেকে রক্ষা পাবো।
শরীয়তপুরের সিভিল সার্জন ডা. মো. খলিলুর রহমান বলেন, বর্তমানে শরীয়তপুর সদর হাসপাতালটি ১শ শয্যার হওয়ায় আমরা চাহিদা অনুযায়ী রোগি ভর্তি রাখতে পারছি না। নতুন ৮তলা ভবন নির্মিত হলে জেলার মানুষের কাঙিক্ষত চিকিৎসা সেবা প্রদান করা খুবই সহজ হবে। তখন এখানে সকল রোগের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক থাকবেন। তখন রোগিরাও সেবা পাবেন এবং আমরাও সেবা দিয়ে তৃপ্ত হবো।
আপনার মতামত লিখুন :