নিজস্ব প্রতিবেদক : ‘খালি কেমিক্যাল কেমিক্যাল করতাছেন। কেমিক্যাল ছাড়া কেউ বাঁচবার পারব!’ কেমিক্যাল থাকলে পুরা চকবাজার সাফা হইয়া যাইত। গ্যাস সিলিন্ডারের লাইগা এইটা হইছে বলে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানান স্থানীয় ব্যবসায়ীরা। তাঁদের মতে, রাসায়নিকের কারণে আগুন লাগেনি। তাহলে কেন রাসায়নিকের গুদাম সরাতে হবে।
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিসিসি) উদ্যোগে অগ্নিকাণ্ডের স্থান পরিষ্কার করা হয়েছে শুক্রবার। শনিবারও অনেকে এসেছেন ঘটনাস্থল দেখতে। ওয়াহেদ ম্যানসন থেকে সরানো হচ্ছে রাসায়নিক।
আগুন কেন লেগেছে, সিলিন্ডার না রাসায়ানিক সে তর্কও জারি আছে। কেউ কেউ নেমে পড়েছেন রাসায়নিকের পক্ষ নিয়ে। তারা বলতে চাইছেন সিলিন্ডারের কারণে আগুন লেগেছে। অগ্নিকাণ্ডের কারণ অনুসন্ধানে গঠিত বিভিন্ন সংস্থার তদন্ত কর্মকর্তারাও দাহ্য রাসায়নিকের খোঁজ পাওয়ার তথ্য জানিয়েছেন। তবে শনিবার সরেজমিন ঘটনাস্থলে গিয়ে কয়েকজনের সঙ্গে কথা হলে তারা জানান কেমিক্যাল থেকে আগুন লাগেনি।
তারা বলেন, ‘কেমিক্যাল থাকলে পুরা চকবাজার সাফা হইয়া যাইত। গ্যাস সিলিন্ডারের লাইগা এইটা হইছে। খালি কেমিক্যাল কেমিক্যাল করতাছেন। কেমিক্যাল ছাড়া কেউ বাঁচবার পারব!’ একজন বললেন, 'কেমিক্যাল ছাড়া কেউ বাঁচবার পারব? কেমিক্যাল দিয়া কাপড়, সুগন্ধি, চশমা, জুতা তৈরি হয়। কেমিক্যাল ছাড়া কি দুনিয়া চলে?’
শনিবার চুড়িহাট্টা পরিদর্শন করেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। ওই সময় তিনি বলেন, চকবাজার থেকে রাসায়নিক কারখানা সরিয়ে নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। পাশাপাশি পুরান ঢাকার অন্যান্য এলাকা থেকেও রাসায়নিক গুদাম সরানোর নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।
তবে মন্ত্রী চলে যাওয়ার পর সেখানে বেশ কয়েকজন এর বিরোধিতা করে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানান। তাঁদের মতে, রাসায়নিকের কারণে আগুন লাগেনি। তাহলে কেন রাসায়নিকের গুদাম সরাতে হবে।
যদিও সরেজমিন প্রতিবেদনে জানা যায়, চুড়িহাট্টার চৌরাস্তাসংলগ্ন ভবনগুলোয় ছিল বিভিন্ন দাহ্য রাসায়নিক ও প্লাস্টিকের গুদাম। সবচেয়ে বেশি মজুত ছিল সুগন্ধির রাসায়নিক পদার্থ স্পিরিট। এ ছাড়া সেখানে হাইড্রোজেন পার-অক্সাইড, সোডিয়াম থায়োসালফেট, এসিটোন ও কিটোন গ্রুপের রাসায়নিক কেনাবেচা হতো। এসব পদার্থের কারণেই আগুনের ভয়াবহতা মাত্রা ছাড়িয়েছিল। এরপর বিভিন্ন প্লাস্টিকের দানায় ছড়িয়ে আগুন স্থায়িত্ব পেয়েছিল।
আপনার মতামত লিখুন :