মাসুদ আলম : পুরান ঢাকার চকবাজারে চুড়িহাট্টা মোড়ে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় নিহতদের মধ্যে আরও দুইজনের পরিচয় মিলেছে। এরা হলেন- হায়দার মেডিকেল নামের ফার্মেসীর মালিক আনোয়ার হোসেন মঞ্জু ও প্লাস্টিক ব্যবসায়ী মো. জাফর আহমেদ। শনিবার ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গ থেকে তাদের মরদেহ পরিবারের কাছে কাছে হস্তান্তর করা হয়। নিহত ৬৭ জনের মধ্যে ৪৮ জনের মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন জেলা প্রসাশনের কর্মকর্তারা। বাকি ১৯ জনকে এখনও শনাক্ত করা সম্ভব হয়নি। বাকি মরদেহগুলোর পরিচয় শনাক্তের জন্য স্বজনদের ডিএনএ নমুনা নেওয়া হচ্ছে।
নিহত মঞ্জুর ভাই মাইনুল হাসান চৌধুরী মুন্না বলেন, দুই সন্তান ও স্ত্রী নিয়ে লালবাগ রয়েল হোটেলের বিপরীত পাশের একটি বাসায় থাকতেন মঞ্জু। চুড়িহাট্টা মসজিদের পাশেই তার ফার্মেসী ছিল। বুধবার রাতে অগ্নিকাণ্ডের সময় ফার্মেসীর ভেতরেই ছিলেন তিনি। দোকানের সাঁটার লাগিয়ে দেয়ায় বের হতে পারেনি মঞ্জুর তিন বন্ধুসহ ৮ জন। ঘটনার ৫ মিনিট আগে জরুরি কাজে ফার্মেসী থেকে বের হয়ে যাওয়ায় প্রাণে বেঁচে যান ঢামেকের চিকিৎসক আকবর হোসেন। শুক্রবার রাতে শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে গিয়ে মঞ্জুর মরদেহ শনাক্ত করেন তার ভাইয়েরা। তার গায়ের শার্ট ও ট্রাউজারের অংশবিশেষ ও শরীর দেখে শনাক্ত করা হয়।
তিনি বলেন, মঞ্জু গত ২০ বছর ধরে চকবাজারে ব্যবসা করতেন। তাদের গ্রামের বাড়ি নোয়াখালীর সোনাইমুড়ী এলাকায়। এদিকে মো. জাফরের বড় ছেলে রাজু আহমেদ জানান, তার বাবা চকবাজারে প্লাস্টিক ব্যবসায়ী ছিলেন। কাঁচামাল কিনতে সেদিন চকবাজার গিয়েছিলেন । অগ্নিকাণ্ডের সময় ঘটনাস্থলের পাশেই পানের দোকানে দাঁড়িয়েছিলেন তিনি। বুধবার দুপুরে গ্রামের বাড়ি নোয়াখালী থেকে ঢাকায় আসেন তিনি। ওই দিন রাতে জাফরের মোবাইল ফোন বন্ধ পেয়ে পরদিন গ্রামের বাড়ি থেকে ঢাকা আসে রাজু। রাজু তার বাবাকে নিয়ে পুরান ঢাকায় থাকলেও পরিবারের অন্যরা বাস করতেন গ্রামে। ঘটনার পর থেকে তার সন্ধান না পাওয়ায় বিভিন্ন হাসপাতালে ঘুরেছেন তারা। গত শুক্রবার রাতে স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজে মিটফোর্ড হাসপাতালে গিয়ে জাফরের শার্ট দেখে মরদেহ শনাক্ত করে তার পরিবার।
আপনার মতামত লিখুন :