তরিকুল ইসলাম : যথাযোগ্য মর্যাদায় জাতিসংঘ সদরদপ্তরে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উদযাপন করা হয়েছে। শুরুতেই ১৯৫২ সালের ভাষা শহীদদের বিদেহী আত্মার স্মরণে এবং ঢাকার চকবাজারে ভয়াবহ অগ্নিকা-ে নিহতদের স্মরণে এক মিনিট নিরবতা পালন করা হয়। এবারের আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে জাতিসংঘের পোস্টাল বিভাগ বাংলাসহ ৪১টি ভাষা নিয়ে একটি স্মারক ডাকটিকেট উন্মোচন করে। জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী মিশন থেকে এ তথ্য জানানো হয়।
রাষ্ট্রদূত মাসুদ বিন মোমেন স্বাগত বক্তব্যে ও জাতিসংঘ মহাসচিবের পক্ষে ভাষণ দেন জাতিসংঘের বৈশ্বিক যোগাযোগ বিভাগের আন্ডার সেক্রেটারি জেনারেল অ্যালিসন স্মেল। এ সময় বিশ্বের ২৫ কোটি মানুষের ভাষা এবং সপ্তম ভাষা বাংলাকে জাতিসংঘের দাপ্তরিক ভাষা হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রদত্ত প্রস্তাব পুনরায় উত্থাপন করেন। একই সঙ্গে কিভাবে ভাষা আন্দোলনের পথ ধরে বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জিত হয়েছে তাও তুলে ধরেন মাসুদ বিন মোমেন।
জাতিসংঘের বৈশ্বিক যোগাযোগ বিভাগ, ইউনেস্কোর নিউইয়র্কস্থ কার্যালয়, জাতিসংঘ পোস্টাল বিভাগ, জাতিসংঘ সচিবালয়ের বহুভাষাবাদ সমন্বয়কারী কার্যালয়, নিউইয়র্ক সিটি মেয়র অফিস এবং জাতিসংঘে বাংলাদেশ স্থায়ী মিশনসহ গুয়েতেমালা, মোজাম্বিক, নাইজেরিয়া ও পাপুয়া নিউগিনি মিশনের যৌথ উদ্যোগে স্থানীয় সময় বিকাল পাঁচটায় মাতৃভাষা দিবস উদযাপন করা হয়।
রাষ্ট্রদূত বলেন, বিশ্বের ৭ হাজার ভাষার মধ্যে প্রায় ৪০ ভাগই আজ হুমকির সম্মুখীন। আজকের দিনটি বিশ্বব্যাপী বিস্তৃত ভাষাগত ও সাংস্কৃতিক বৈচিত্র সংরক্ষণে আমাদের সম্মিলিত প্রতিশ্রুতির কথাই স্মরণ করিয়ে দেয়। এবছরকে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদ ‘আন্তর্জাতিক দেশীয় ভাষা বর্ষ হিসেবে ঘোষণা করেছে যা বৈশ্বিকভাবে ভাষাগত ও সাংস্কৃতিক বৈচিত্র সংরক্ষণ ও সচেতনতা সৃষ্টিতে আমাদেরকে একটি সুযোগ এনে দিয়েছে।
আপনার মতামত লিখুন :