আব্দুস সালাম : অধ্যাপক ড. সলিমুল্লাহ খান বলেন, আমাদের যেসব দোকান বা বাসার নাম ইংরেজিতে আছে সেগুলো বাংলা করতে হবে। যারা বাসা বা দোকানের নাম ইংরেজিতে লিখে তারা শুধু নিজেদের শ্রেণিস্বার্থ প্রতিষ্ঠা করতে নিজেদের মাতৃভাষার সাথে বেঈমানি করতে দ্বিধা করছে না। দেশে একটা প্রভাব আছে যে বেশি ইংরেজি জানবে সে চাকরি পাবে, এরকম মানুষিকতার পরিবর্তন করতে হবে। ডিবিসির রাজকাহন অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি আরো বলেন, ভাষা শুধু শিক্ষা বিস্তারের মাধ্যম নয়, এটি জাতীয় সংস্কৃতিরও মাধ্যম। আমাদের শিক্ষার সর্বস্তরে বাংলাভাষা চালু করতে হবে। ১৯৭৪ সালে বলা হয়েছে শিক্ষার মাধ্যম শুধু বাংলাভাষায় হবে। কিন্তু এখন শিক্ষার মাধ্যম তিনটি ভাষায় পরিচালিত হচ্ছে। পৃথিবীতে যত দেশ আছে সব দেশেই তারা নিজ নিজ ভাষায় পাঠ্যপস্তুক লিখে এবং সেই ভাষায় পড়াশুনা করে কিন্তু বাংলাদেশে কেন সেটা করছে না। এখনো দেশে শতভাগ সাক্ষরতা নিশ্চিত হয়নি। দেশে বিভিন্ন আঞ্চলিক ভাষায় মানুষ কথা বলে। দেশে ৭ কোটি মানুষ নিরক্ষরতার মধ্যে আছে। বাংলাদেশে বর্তমানে একমুখি শিক্ষার জায়গায় তিন মুখি শিক্ষা চলছে। আমাদের যেমন ডাক্তার দরকার, ইঞ্জিনিয়ার দরকার তার জন্য বিশেষ ভাষার ব্যবস্থা তো থাকবেই। তাই বলে আমাদের মাতৃভাষা হত্যা করে নয়।
আপনার মতামত লিখুন :