শিরোনাম
◈ এলডিসি উত্তরণের পর সর্বোচ্চ সুবিধা পাওয়ার প্রস্তুতি নিতে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ ◈ ড. ইউনূসকে নিয়ে শিক্ষামন্ত্রীর বক্তব্য দুঃখজনক: আইনজীবী  ◈ ত্রিশালে বাসের ধাক্কায় বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রসহ অটোরিকশার ৩ যাত্রী নিহত ◈ জলদস্যুদের হাতে জিম্মি জাহাজ মুক্ত করার বিষয়ে  সরকার অনেক দূর এগিয়েছে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী  ◈ এসএসসি পরীক্ষায় আমূল পরিবর্তন, বদলে যেতে পারে পরীক্ষার নামও ◈ পঞ্চম দিনের মতো কর্মবিরতিতে ট্রেইনি ও ইন্টার্ন চিকিৎসকরা ◈ অর্থাভাবে পার্লামেন্ট নির্বাচনে লড়বেন না ভারতের অর্থমন্ত্রী ◈ কখন কাকে ধরে নিয়ে যায় কোনো নিশ্চয়তা নেই: ফখরুল ◈ জনপ্রিয়তায় ট্রাম্পের কাছাকাছি বাইডেন ◈ আদালত থেকে জঙ্গি ছিনতাই মামলার তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয়ার নতুন তারিখ ৮ মে

প্রকাশিত : ২৩ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯, ১২:৪১ দুপুর
আপডেট : ২৩ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯, ১২:৪১ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

ড. কামাল বললেন, অবিলম্বে খালেদা জিয়ার মুক্তি হওয়া উচিৎ

শিমুল মাহমুদ: জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষনেতা ড. কামাল হোসেন বলেছেন, অবিলম্বে বিএনপি’র চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি হওয়া উচিৎ। শুক্রবার (২২ ডিসেম্বর) সকালে সু্প্রিম কোর্টের আইনজীবী সমিতির মিলনায়তনে গণশুনানি শুরু হয়। সকাল থেকে বিকেল প্রায় সাড়ে ৫ টা পর্যন্ত চলে গণশুনানি। শুনানির সমাপনি বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

ড. কামাল তার বক্তব্যে বলেন, ‘যে কথা প্রায় সাবাই আন্তরিক ভাবে বলেছেন, যে আমাদের বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি। তার মুক্তি এটা অত্যন্ত যুক্তি সংগত দাবি। খালেদা জিয়ার মুক্তি অবিলম্বে হওয়া উচিৎ। এই অনুষ্ঠান থেকে দাবিটা যাওয়া দরকার। এটা দু:খজনক। স্বাধীন বাংলাদেশে স্বাধীনতার ৪৮ বছর পর এই ধরনের দাবি আমাদের করতে হচ্ছে। যারা গণতন্ত্রের মুক্তির জন্য ভূমিকা রেখেছেন।’

৩০ ডিসেম্বরের নির্বাচন প্রসঙ্গে বলেন, এটাকে নির্বাচন বলা যায় না, নির্বাচনের নামে প্রহসন হয়েছে। আমরা বুঝতে পেরেছি এটা কোনো নির্বাচন হয়নি।

এসময় প্রশাসনের প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, আপনারা মারা গেলে উত্তরসূরিরা আপনাদের নিয়ে লজ্জা পাবে। আপনারা আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে দেখুন কি দেখছেন। আপনারা সংবিধান অমান্য করছেন।

তিনি বলেন, আমাদের ঐক্যবদ্ধ হয়ে দেশের মালিকানা ফিরিয়ে আনতে পারি সেটা করতে হবে। যেনো স্বৈরাচারকে সরাতে পারি। এজন্য সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।

শুনানিতে সারাদেশ থেকে আসা ৪৩ জন প্রার্থী নির্বাচনের আগে ও পরের অবস্থা তুলে ধরেন।

এসময় শুনানির বিচারক হিসেবে মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন, গণফোরাম সভাপতি ড. কামাল হোসেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি অধ্যাপক ড. এমাজউদ্দীন আহমদ, আইন বিভাগের অধ্যাপক ড. আসিফ নজরুল, ড. নুরুল আমিন বেপারী, অ্যাড. ড. মহসিন রশীদ, সাবেক বিচারপতি আ ক ম আনিসুর রহমান খান, বিএনপির আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক অধ্যাপক দিলারা চৌধুরী।

গণশুনানির শুরুতে চকবাজারে অগ্নিকাণ্ডে নিহত ও আহতদের স্মরণে শোক প্রস্তাব উপস্থাপন ও এক মিনিট নিরবতা পালন করা হয়।

শুনানিতে আরও উপস্থিত ছিলেন, কৃষক-শ্রমিক লীগের সভাপতি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী, নাগরিক ঐক্যের আহবায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না, বিএনপির সিনিয়র নেতা, সারাদেশ থেকে আসা জোটটির প্রার্থীরা।

গণফোরামের নির্বাহী সভাপতি, সুব্রত চৌধুরী বলেন, আমার কেন্দ্রে ইভিএম ছিলো। যা প্রিজাইডিং অফিসারের আঙ্গুলের চাপে কাজ করা যায়। আর নির্বাচনে তাই হয়েছে। সকাল থেকে বলা হয়েছে ইভিএম নষ্ট কাজ করে না ভোট বন্ধ। এ সময় তার নির্বাচনী আসনে আহত মহিলা এজেন্ট সোনিয়া নির্বাচন চলাকালীন সময়ে ঘটে যাওয় ঘটনা তুলে ধরেন। সোনিয়া বলেন, আমি ভোট কেন্দ্রে গেলে আমাকে ভোট কেন্দ্রে ঢুকতে দেওয়া হয়নি। আমি যখন বলি ঐক্যফ্রন্টের এজেন্ট। তখন আমাকে মহিলালীগ, যুবলীগের ছেলেরা শুন্যে উঠিয়ে ফেলে দেয়। এতে আমার গর্ভে থাকা সন্তান মারা যায়।

মনিরুল হক চৌধুরী বলেন, এই নির্বাচনে যে পরিমান সমর্থক আমাদের ছিলো। তা কখনো ছিল না।যেখানে মেয়ে প্রস্তুত, মায়েরা প্রস্তুত, দেশের জনগণ প্রস্তুত আমরা কেন্দ্রীয় নেতারা সেখানে কিছু কিরতে পারলাম না এর জন্য একটা সমাবেশ দেন। আমরা প্রার্থীরা কেনো একত্র হতে পারলাম না।সে জন্য ৩০০ আসনে পার্থীদের ডেকে জবাব দিহিতা করেন। আজকে অডিও তে দেখেন আর ভিডিওতে দেখেন সারা দেশে একেই নাটক। কারণ পরিচালক একজন। আজকে আমাদেত কেন্দ্রীয় নেতারা বলেন খালেদা জিয়ার মুক্তির জন্য কর্মসূচী দেন।তাহলে পোগ্রাম দিবো কে? আমি বলবো ১৫ দিনের মধ্যে একটা রায় দেন।দরকার হলে পুলিশের কথা নেন। সরকারের কথা নেন। তবুও একটা রায় দেন।

শামা ওবায়েদ বলেন, আমার আসন ফরিদপুর -২। আমাদের একটা ধারনা আছে ফরিদপুর আওয়ামি লীগ প্রতি অধ্যাসিত। কিন্তু এবার টুঙ্গিপাড়াতেও শেখ হাসিনাকে ভোট কাটতে হয়েছে। নির্বাচনকালীন সময়ে দুই মাস ফরিদপুর -২আসনে আওয়ামী লীগ প্রার্থীকে দেখেনাই জনগণ। কিন্তু প্রার্থীর ছেলে সামনে ও পেছনে পুলিশ র‍্যাব নিয়ে, অস্ত্র নিয়ে মহরা দিয়েছে। শালতা উপজেলায় পুলিশের এস আই সহ আহত হয়েছে কিন্তু আমার মামলা কেউ নেয় নাই। নির্বাচনের আগের রাতে আমার ভোট কেন্দ্রে সন্ধ্যা ৭ টায় ভোট কাটা হয়েছে।

ড. সাহাদাত হোসেন বলেন, চট্টগ্রাম আমি প্রথমে কেন্দ্রীয় নেতাদের কাছে জানতে চাই। আমিতো কারাগারে ছিলাম। ইভিএমের যে ৬ আসন ছিলো সেখানে আপনার উপস্থিত ছিলেন কিনা?

আমি যেখানে ভোট দেই। সেখানে প্রতিট ভোটারকে আমি চিনি। অথচ সেখানে ধানের শীর্ষে ভোট পরেছে ৮ টি। জেল থেকে বের হয়ে নির্বাচন কমিশনের কাছে আবেদন করেছিলাম। এবং বলে ছিলাম আমাকে ৮ টি ভোট দিয়েছে যারা তাদের নাম ঠিকানাটা আমাকে দেন। তিন দিন পর আমাকে বলা হলো রেকর্ড নাই। তাহলে ইভিএমের নির্বাচন কেমন ছিলো।

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কারচুপির বর্ণনা দিয়ে লালমনির হাট-৩ আসনে ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থী আসাদুল হাবিব দুলু বলেন, এই নির্বাচনের ভোট ডাকাতির চিত্র আমার কাছে রয়েছে। ভোটের আগে ছাত্রলীগের এক ছেলে আমাকে ফোন করে বললো, ছাত্রলীগের ১৪ জনকে বাছাই করে ৫০ হাজার করে টাকা দেওয়া হয়েছে। ভোট ডাকাতির জন্য।

তিনি বলেন,‘নির্বাচনে ৭ টি কেন্দ্রে শতভাগ ভোট পরেছে। আমি জানতে চাই যে কেন্দ্রে ভোটার শতভাগ ছিল না। সে কেন্দ্র শতভাগ ভোট পরলো কীভাবে ?

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়