মাসুদ আলম : ইডেন কলেজ থেকে একাউন্টিংয়ে মাস্টার্স শেষে পুরান ঢাকার চকবাজারে হাজী সেলিমের মালিকানাধীন আশিক টাওয়ারের হিসাবরক্ষক হিসাবে কাজ করতেন নাসরিন জাহান । অন্যদিনের মতো গত বুধবারও আশিক টাওয়ারে কাজে গিয়েছিলেন তিনি। স্ত্রীকে আনতে সন্ধ্যার পর বাসা থেকে রওনা দেন স্বামী সালেহ মো. লিপু (৩২) এবং ছেলে আবু তাহির (৫)। বাবার সঙ্গে বায়না ধরে, তাহিরও মায়ের অফিসে যাবে। বাপ-বেটার নাসরিনের অফিসে পৌঁছতে ৯টা বেজে যায়। স্ত্রীর সঙ্গে তার অফিসে একটু সময় কাটিয়ে রিকশায় বাসায় যাচ্ছিলেন তারা। পথেই চুড়িহাট্টায় গাড়ির সিলিন্ডার বিস্ফোরণ নিহত হয় তারা। এখনো সন্ধান মেলেনি তাদের। তাই আজ শুক্রবার ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে লাশ শনাক্ত করতে ডিএনএ নমুনা দিয়েছেন পরিবারের অন্য দুই সদস্য।
নাসরিনের ভাই আনোয়ার হোসেন রনির বলেন, বোনের লাশ শনাক্ত করতে ঢামেক মর্গে ডিএনএ নমুনা দেওয়ার জন্য মাকে নিয়ে এসেছিলেন রনি। তারা তিন ভাই এক বোন। পুরান ঢাকার স্থায়ী বাসিন্দা। চকবাজারে অগ্নিকাণ্ডের ১০ মিনিট আগে তারা সেখান থেকে বের হয়ে বাড়ির দিকে রওনা দেয়। সেটা অফিসের সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেছে দেখা গেছে। হয়তো ২ মিনিট সময় পেলে তারা আগুন থেকে বেঁচে যেতে পারতো। আশিক টাওয়ার থেকে তাদের বাসায় যাওয়ার রাস্তা একটাই। লিপুর মৃতদেহ শনাক্তে ডিএনএ নমুনা জমা দিতে তার বাবা লাল মিয়া এসেছিল। দ্রুত তাদের লাশ ফেরত যান স্বজনেরা।
আপনার মতামত লিখুন :