রাশিদ রিয়াজ : ভারতের পুলওয়ানমায় দেশটির ৪৯ সেনা জঙ্গি হামলায় নিহত হওয়ার জের ধরে একাধিক রাজ্যে কাশ্মীরি পড়–য়া ও সাধারণ নাগরিকদের উপর যে অত্যাচার চলছে তা অবিলম্বে বন্ধে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। আদালত সারা ভারতের কেন্দ্রীয় ও ১০টি রাজ্য সরকারকে নোটিশ দিয়ে বলেছে, কাশ্মীরিদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে কী ব্যবস্থা নিচ্ছে বা নেওয়া হয়েছে তা জানাতে হবে। টাইমস অব ইন্ডিয়া
নয়াদিল্লিসহ জম্মু-কাশ্মীর, উত্তরাখ-, হরিয়ানা, উত্তর প্রদেশ, বিহার, মেঘালয়, ছত্তিশগড়, পশ্চিমবঙ্গ, পাঞ্জাব ও মহারাষ্ট্র সরকারকে এই নোটিস পাঠিয়েছেন প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈয়ের ডিভিশন বেঞ্চ। ভারতের বিভিন্ন প্রান্তে কাশ্মীরি নাগরিকদের উপর অত্যাচারের ঘটনা বেড়ে যাওয়ায়, মঙ্গলবার শীর্ষ আদালতে একটি পিটিশন ফাইল করেছিলেন আইনজীবী তারিক আদিব। সেই পিটিশনের পরিপ্রেক্ষিতে শুক্রবার এই নোটিস জারি করল শীর্ষ আদালত। পিটিশনে কাশ্মীরিদের নিয়ে মেঘালয়ের রাজ্যপাল তথাগত রায়ের বিতর্কিত টুইটের প্রসঙ্গও উল্লেখ করেছিলেন আইনজীবী তারিক আদিব। এবং বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখেন প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈ। সূত্রের খবর, এরপর তিনি জানান, গণপিটুনির ঘটনা প্রতিরোধের জন্য যে সমস্ত নোডাল অফিসাররা এতদিন কাজ করতেন এবার থেকে কাশ্মীরিদের উপর অত্যাচারের বিষয়টিও তারাই দেখবেন। পাশাপাশি, স্বরাষ্ট্র দপ্তরকে বলা হয়েছে, এই বিষয়ে সচেতনতামূলক প্রচার বাড়াতে যাতে সাহায্যপ্রার্থীরা সহজে প্রশাসনের নাগাল পায়। এছাড়া প্রতিটি রাজ্যের মুখ্য সচিব, পুলিশের ডিজি ও দিল্লির পুলিশ কমিশনারকে বলা হয়েছে, কাশ্মীরিদের উপর অত্যাচারের কোনও ঘটনা ঘটলে বিষয়টিকে গুরুত্ব দিয়ে দেখার। এবং যথাযথ কঠোর ব্যবস্থা প্রহণ করার।
গত ১৪ ফেব্রুয়ারি পুলওয়ানামায় সেনা কনভয়ে আত্মঘাতী হামলা চালায় একজন জইশ-ই-মহম্মদ জঙ্গি। এরপর থেকে ভারতের বিভিন্ন স্থানে কাশ্মীরিদের উপর অত্যাচার শুরু হয়। একাধিক জেলায় কাশ্মীরি শাল বিক্রেতাদের উপর হামলার ঘটনাও ঘটেছে। নদিয়ায় এক শাল বিক্রেতাকে মারধর করা হয়। উত্তরাখ- থেকে কাশ্মীর ফিরে যাওয়ার হুমকি দেওয়া হয়। অভিযোগের আঙুল ওঠে বজরং দলের দিকে। বৃহস্পতিবার, মহারাষ্ট্র শিব সেনার যুব সংগঠনের সদস্যের মারধরের মুখে পড়ে কয়েকজন কাশ্মীরি ছাত্র।
আপনার মতামত লিখুন :