মারুফুল আলম : ২০২০ অলিম্পিক এবং প্যারা-অলিম্পিকের জন্য যে সব স্বর্ণ, রৌপ্য আর ব্রোঞ্জের পদক তৈরি করা হচ্ছে, তার সবই আসছে পরিত্যক্ত মোবাইলের ধাতব পদার্থ থেকে। যদিও এখন পর্যন্ত লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারেনি কর্তৃপক্ষ, তবে তাদের বিশ্বাস নির্ধারিত সময়ের আগেই শেষ হবে সকল পদক তৈরির কাজ। সময় টিভি
আন্তর্জাতিক অলিম্পিক কমিটির নিয়ম অনুযায়ী একটি স্বর্ণ পদকে স্বর্ণের উপস্থিতি থাকতে হবে কমপক্ষে ছয় গ্রাম। বিপরীতে একটি মোবাইল রিসাইকেল করে স্বর্ণ পাওয়া যাচ্ছে গড়ে দশমিক শূন্য তিন গ্রাম। এই পদ্ধতিতে এখন পর্যন্ত টোকিও অলিম্পিক কমিটি সংগ্রহ করেছে প্রায় ৩১ কেজি সোনা। যা ইতোমধ্যেই পূরণ করেছে চাহিদার ৯০ শতাংশ। এছাড়াও ৪ হাজার ১শ কেজি রৌপ্য এবং ২ হাজার ৭শ কেজি ব্রোঞ্জে পূরণ হয়েছে লক্ষ্যমাত্রার অনেকটাই।
২০১৭ সালে পদক তৈরির উদ্দেশ্যে নষ্ট মোবাইল আর পরিত্যক্ত ইলেক্ট্রনিক্স ডিভাইস সংগ্রহের কার্যক্রম জাপান শুরু করে। এই ধারণাটি নিয়ে আসে জাপানের এক দল ছাত্র। পরবর্তীতে অনলাইনে প্রচারণার মাধ্যমে দেশবাসীকে এই কার্যক্রমে উদ্বুদ্ধ করা হয়। এ জন্য বিভিন্ন স্থানে বসানো হয় মোবাইল সংগ্রহ বুথ।
এই ছাত্ররা বলেন, মোবাইল থেকে যে বিভিন্ন ধাতব পদার্থ পাওয়া যেতে পারে এ নিয়ে আমরা গবেষণা শুরু করি এবং ইতিবাচক ফল পাই। এখন আমরা যে কার্যক্রম হাতে নিয়েছি তাতে দারুন সাড়া পেয়েছি।
জাপানের পরিবেশবিদ দাইগো ইগা বলেন, মোবাইল ফোনগুলোতে প্রচুর পরিমাণে স্বর্ণ, রৌপ্য এবং ব্রোঞ্জ থাকে। পুনঃপ্রক্রিয়া করে আমরা সেগুলো বের করতে সক্ষম হয়েছি। নয়তো আমাদের অন্য কোন দেশ থেকে এই ধাতুগুলো আমদানি করতে হতো। এর ফলে আমরা ব্যাপক লাভবান হয়েছি।
ফোন জমাদানকারী একজন বলেন, আমি পাঁচটা ফোন জমা দিয়েছি। যেগুলো অব্যবহৃত অবস্থায় ছিলো। ফোনগুলো জমা দিয়ে মনে হচ্ছে আমি আমি এই গেমসের একটা অংশ।
২০২০ টোকিও অলিম্পিকে ৫০টি ডিসিপ্লিনে অনুষ্ঠিত হবে ৩৩৯টি ইভেন্টস। আর প্যারা-অলিম্পিকে এই সংখ্যা ৫৪০। দুটো আসরের জন্য স্বর্ণ, রৌপ্য ও ব্রোঞ্জ মিলিয়ে মোট পদকের চাহিদা ২ হাজার ৬শ’টি।
আপনার মতামত লিখুন :