ফায়জুন সিতু : আগুনে পোড়া লাশগুলোর কোনটা কয়লার মতো, কোনটা ছাই আবার কোনটা একেবারে বিকৃত হয়ে গেছে। এর মাঝে একজন মহিলা, তিনি শেষ পর্যন্ত বাচ্চাকে কোলে ধরে রেখেছেন। নিহতের আত্মীয় জানালেন, কমিউনিটি সেন্টারে বিয়ের অনুষ্ঠানে এসে ছিলেন তারা। চকবাজারের অগ্নিকান্ডের ঘটনা পরবর্তী এমন সব দৃশ্য দেখা যায়। বিবিসি বাংলা
ভাই আলী হোসেনকে খুঁজতে এসে একজন বললেন,“আমার ভাইয়ের ভ্যানিটি ব্যাগের কারখানা ছিলো। তার ছোট ছেলে ছিলো সঙ্গে। তিনি আমাদের কারখানায় আসছিলো নাজিম উদ্দীন রোডে। এখান থেকে যাওয়ার পথে রাস্তায় ওনি অগ্নিকান্ডে মারা যান। পুলিশ তার লাশ রাস্তা থেকে উদ্ধার করেছে।” পুরোনো ঢাকার চকবাজারে চুরিহাট্টায় নিহতদের সব গুলো লাশ রাখা হয়েছে ঢাকা মেডিকেল কলেজের মর্গে। লাশ শনাক্ত করতে হাসপাতাল মর্গে জড়ো হয়েছেন নিহতের স্বজনেরা।
অগ্নিকান্ডের পর থেকে নিখোঁজ রয়েছেন কাউসার আহমেদ। যমজ বাচ্ছাদের নিয়ে স্বামীর মরদেহের খোঁজে এসেছেন তার স্ত্রী।
বেঁচে যাওয়া একজন দোকানদার বললেন,আমার হয়তো হায়াত ছিলো এই জন্য আমি দোকান বন্ধ করে চলে গিয়েছিলাম। ফিরে এসে দেখি আগুন আর আগুন। আমরা এদিকে আসতে পারিনি আর। তিনি বললেন মদিনা ডেকোরেটার্সে প্লাস্টিকের দোকান ছিলো। এটা মদিনা সেন্টার আর এটাও আমাদের আরেকটা দোকান ছিলো। রানা নামের একজন ছিলেন দোকান করতেন। ঘটনার আধঘন্টা আগেও তার সঙ্গে আমার কথা হয়েছে। আমরা অনেক গুলো লাশ শনাক্ত করতে পেরেছি। রাজধানীর চকবাজাররে চুড়িহাট্টায় ভয়াবহ আগুনের এভাবইে বর্ণনা দেন সেখানকার একজন দোকানদার।
আপনার মতামত লিখুন :