হ্যাপি আক্তার : দেশ-বিদেশে ভ্রমণের আগ্রহ যেমন বাড়ছে, তেমনি বাড়ছে ভ্রমণ সাহিত্যের পাঠকের সংখ্যা। অজানাকে জানার সেই ইচ্ছে পূরণের অন্যতম মাধ্যম হয়ে ওঠে বই। তবে প্রকাশের দিক দিয়ে পিছিয়ে এই ধারার সাহিত্য। অমর একুশে গ্রন্থমেলায় চাহিদার তুলনায় বই না পেয়ে পাঠক অসন্তোষ জানালেও, মানসম্পন্ন লেখার অভাবকেই দায়ী করলেন প্রকাশকরা। সময় টেলিভিশন।
শুধুমাত্র কোনো দেশ বা স্থানের বিবরণ নয়, জীবনকে বিচিত্রভাবে দেখার জন্য প্রয়োজন ভ্রমণ সাহিত্য। পাঠকের কাছেও বিশেষ কদর পায় এ শ্রেণীর বইগুলো। বিচিত্র ভাষা, সংস্কৃতি, রাজনীতি, ইতিহাস, সমাজ, অর্থনীতি এক মলাটেই মূর্ত হয়ে উঠে লেখকের তীক্ষ্ণ পর্যবেক্ষণে।
মেলায় ঘুরতে আসা পাঠকরা বলেছেন, বিভিন্ন দেশে ঘুরতে যাওয়ার সুযোগ হয় না। সেক্ষেত্রে ভ্রমণ কাহিনী পড়লে বইয়ের পাতায় ওই দেশগুলোতে আমরা হারিয়ে যাই। যে দেশ সম্পর্কে লেখা হয় তাতে ওই দেশগুলো ইতিহাস, খেলাধুলাসহ বিভিন্ন বিষয় সম্পর্কে জানা যায়। ভ্রমণ কাহিনী পড়লে আসলে একটা দেশ সম্পর্কে পুরো ধারণা পাওয়া যায়।
বাংলা সাহিত্যের ধারা সমৃদ্ধ ভ্রমণ কাহিনীতে। তবে, বই মেলায় প্রকাশিত হাজার হাজার বইয়ের ভিড়ে ভ্রমণ বিষয়ক বই নিতান্তই হাতেগোনা। প্রশ্ন রয়েছে বইয়ের মান নিয়েও।
উৎস প্রকাশনীর প্রকাশক মোস্তফা সেলিম বলেন, 'একটা সাধারণ ঘটনাকে সাহিত্যের মত করে উপস্থাপনের যোগ্যতা যদি থাকে তাহলে সেটি সাহিত্য। অন্যগুলো ভ্রমণ বিবরণ হয়। অল্প লোকেই ভ্রমণ সাহিত্য লিখেন, অনেকেই ভ্রমণ বিবরণ লিখছেন।'
তাম্রলিপি প্রকাশনীর প্রকাশক এ কে এম তারিকুল ইসলাম বলেছেন, যারা বই কিনবেন তাদের কথা চিন্তা করে যদি বই লেখা হয় তাহলে পাঠক এবং
লেখক দুই উপকৃত হবেন।
পাঠকের চাহিদাকে প্রাধান্য দিয়ে বাংলা সাহিত্য আরো সমৃদ্ধ হোক বিচিত্র ভ্রমণ বৃত্তান্তে, এমনটিই প্রত্যাশা লেখক, পাঠক ও প্রকাশনীন। সম্পাদনা : জামাল
আপনার মতামত লিখুন :