নিউজ ডেস্ক : পুরান ঢাকার চকবাজারের আগুন নিয়ন্ত্রণে নিয়োজিত ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদফতরের পরিচালক (অপারেশন ও মেইনটেন্যান্স) মেজর এ কে এম শাকিল নেওয়াজ বলেন, এ বিষয়ে স্থানীয়দের সচেতন হতে হবে। এ ধরনের বিপর্যয় রোধে সম্মিলিত প্রচেষ্টা দরকার। সময় টিভি।
বাড়িওয়ালাদের অতিরিক্ত ভাড়া দিয়ে কেমিক্যাল গুদাম করা হয়েছে বলে উল্লেখ করে মেজর এ কে এম শাকিল নেওয়াজ বলেন, এগুলো বন্ধ করতে হবে। যিনি এ গুদামের মালিক, তিনি হয়তো থাকেন গুলশানে। কিন্তু দুর্ঘটনায় মারা যায় সাধারণ মানুষ।
শাকিল নেওয়াজ বলেন, আবাসিক এলাকায় এ ধরনের কোনো কোম্পানি যেন থাকতে না পারে, সেটা নিশ্চিত করতে হবে। ফায়ার কিন্তু এগুলো অনুমোদন দেয় না, যারা দেয় তাদের কঠোর পদক্ষেপ নিতে হবে। ফায়ার রাস্তাও তৈরি করে না। আজ আমরা আধুনিক একটি গাড়িও উদ্ধার কাজে ব্যবহার করতে পারিনি। যদি বড় ধরনের ভূমিকম্প হয়, তাহলে কী হবে?’
চকবাজারে যে পাঁচটি ভবনে আগুন লেগেছে প্রতিটিতে কেমিক্যাল মজুদ করা ছিলো বলে উল্লেখ করে তিনি আরো বলেন, নিচে হোটেল, হোটেলের উপরে কেমিক্যালের গোডাউন, তার উপরে মানুষের বসবাস। এভাবে তো চলতে পারে না। কেমিক্যালের কারণে বারবার আগুন জ্বলে উঠছে, নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হচ্ছে না। আগুন নেভানোর জন্য যে পরিমাণ পানির দরকার, তাও পাওয়া যাচ্ছে না। এর চেয়ে বড় প্রতিবন্ধকতা আর কী হতে পারে’- প্রশ্ন রাখেন শাকিল নেওয়াজ।
চকবাজারে লাগা ভয়াবহ আগুনে শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ৭৮টি মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকাল ৭টায় চুড়িহাট্টায় স্থাপিত ফায়ার সার্ভিসের অস্থায়ী তথ্য কেন্দ্র থেকে এ তথ্য জানানো হয়।
আপনার মতামত লিখুন :