কেএম নাহিদ: স্থপতি মোবাশ্বের হোসেন বলেছেন,শাজাহানকে সড়কের শৃঙাখলা কমিটিতে আনার কোন প্রয়োজন ছিলো কিনা আমি জানি না। তবে যেহেতু এনে ফেলেছে শাজাহান খান যদি চান, আগামী ছয় মাসের মধ্যে পরিবহণ সেক্টোরে ৩০/৪০ শতাংশ শৃঙ্খলা আনতে পারে। রোড ফ্রান্সিস করে ‘ঢাকার চাকা’ তার উৎকৃষ্ট উদাহরণ ।তবে দেখতে হবে তিনি চান কিনা। যেখানে জনগণ সুষ্ঠুভাবে লাইনে দাঁড়িয়ে গাড়িতে সু-শৃঙ্খলভাবে চলছে। এতে বোঝা যাচ্ছে আমরা আইন মানতে চাচ্ছি। বুধবার ইন্ডিপেনডেন্ট টেলিভিশনের আজকের বাংলাদেশ অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন তিনি।
মোবাশ্বের হোসেন বলেন, পরিবহণ মালিকরা এখন যে টাকা আয় করছে, পরিবহণ থেকে রোড ফ্রান্সিস করলে, এর চেয়ে দ্বিগুণ আয় করতে পারে। তবে কেনো হচ্ছে না, আমাদের গাড়ির মালিকদের একটা বড় অংশের বেনামে গাড়ির ব্যবসা আছে। তারা কোন ভাবে চান না যে তাদের এই বিরাট এই ব্যবসা বন্ধ হোক। তবে সড়কে শৃঙ্খলা আনার জন্য আমাদের এসব কিছু সুষ্ঠুভাবে মোকাবেলা করতে হবে। যতো প্রভাবশালী হোক না কেনো, তাদের মোকাবেলা জন্য সরকারে জিরো টলারেন্স দেখাবে। ফুটপাতের দোকানগুলোকে পুর্নবাসন কওে করতে হবে যাতে তারা তাদের জিবিকার পথ বন্ধ না ।
তিনি বলেন, আমরা জাতি হিসেবে আইন মানতে চাই তবে, আমি দেখেছি প্রতিদিন প্রধানমন্ত্রীর বাড়ির সামনেই লাল বাতি জ¦লা অবস্থায় লোক পারাপার করছে পুলিশ, তাহলে এই সিহগন্যাল বাতি আনার প্রয়োজণ কি ছিলো। প্রতি মাসে এই সিগন্যাল লাইট জ¦লার জন্য ৩২ লক্ষ টাকা বিল দিতে হয় সরকারের । এই যখন আমাদের অবস্থা, তখন শৃঙ্খলা আনতে আমাদের সময় লাগবে। তবে যে কাজ গুলো বাংলাদেশে হয়নি, এসরকার চাইলে, আগামী ৫ বছরে মধ্যে করতে পারে বলে আমার বিশ^াস।
আপনার মতামত লিখুন :